Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ খন্দকার মাহবুব হোসেনের

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

গত তিন মাস যাবত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, ৩ মাস ধরে খালেদা জিয়াকে কোনো চিকিৎসা দেয়া হয় না। অথচ আমরা ভালো ভালো বক্তব্য দিয়ে বেড়াই। সময় খুবই সংকীর্ণ। খালেদা জিয়া যে অবস্থায় আছে এই অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের মহাবিপদ। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে চেতনা বাংলাদেশ আয়োজিত বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজপথ উত্তপ্ত করা ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না উল্লেখ করে খন্দকার মাহবুব বলেন, খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে রাজনৈতিক কারণে। তাকে মুক্ত করতে হবে রাজনৈতিকভাবে। বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভালো ভালো বক্তব্য দিয়ে হবে না। আন্দোলন না করতে পারলে সরে দাঁড়ান। দেশের তরুণ সমাজকে নেতৃত্ব দেন। যারা রাজপথ উত্তপ্ত করতে পারবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারবে। তাদের দায়িত্ব দিয়ে চলে যান। আমরা ব্যর্থদের নেতৃত্ব চাই না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যে অবস্থায় আছে এই অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের মহাবিপদ। এই বিপদে আমরা ভালো ভালো বক্তব্য দিয়ে বেড়াবো তা চলবে না। আমরা ভালো ভালো বক্তব্য শুনতে চাই না। আমরা রাজপথ উত্তপ্ত করতে চাই। রাজপথ উত্তপ্ত করতে যা করা দরকার আমাদের নীতিনির্ধারকরা আশা করি তাই করবেন।
তিনি আরো বলেন, যখন আমাদের নেতা-কর্মীরা জেল জুলুম অত্যাচারে অত্যাচারিত। মামলা হামলার জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তখন জাতীয় ঐক্য গঠন করা হলো। সারা দেশের মানুষ এই জাতীয় ঐক্যের পক্ষে আসলো। তখন কেন শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে গেল? তিনি বলেন, বলা হচ্ছে শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না এটা সারা বিশ্বকে দেখানোর জন্যই নির্বাচনে যাওয়া হয়েছে। এটা তো দেখানোর কিছু নাই। যখন সারাদেশের ভোটাররা বিএনপির পক্ষে তখন আমাদের নেতারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করতে পারল না কেন? এই ব্যর্থতা কার? এই ব্যর্থতা জনগণের না এই ব্যর্থতা আমরা যারা নেতৃত্ব দিয়েছি তাদের। এই ব্যর্থতার দায় দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে।
ঐক্যফ্রন্ট ২৭-২৮ তারিখে যখন ঢাকায় সমাবেশ করতে চেয়েছিল, পুলিশ দেয়নি। আর আমরা ভয়ে গর্তে ঢুকে গেছি। কেন আমরা সেদিন বেরিয়ে আসিনি? আমি আমার নীতি নির্ধারকদের বলবো, এর ব্যর্থতা আপনাদের নিতে হবে এবং জনগণকে এর জবাব দিতে হবে। চেতনা বাংলাদেশে এর সভাপতি ও দোহার উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা রহিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ