প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয়বারের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ (ডিইউসিএস)-এর আয়োজনে গত ২৮ টিএসসি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে জুঁই নিবেদিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ বসন্ত উৎসব ১৪২৫’, উৎসব সহযোগী হিসেবে ছিল কুল, গার্ডিয়ান লাইফ ইন্সুরেন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। দুপুর ২ টায় উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি এ আয়োজনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, একটি জাতির প্রথম এবং প্রধান শক্তিশালী দর্পণ হলো তার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। এই কর্মকাণ্ডের সাথে আমরা যতই সম্পৃক্ত থাকবো, ততই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক, মানবিক, উদার নৈতিক মূল্যবোধ আমাদের মাঝে সম্প্রসারিত হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া বলেন, আমি মনে করি, এ বসন্তের মৌলিক যে চেতনা, পৃথিবীর খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এ ধরনের চেতনা ধারণ করার সুযোগ হয়। উৎসবে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব লাকী ইনাম, আবৃত্তিশিল্পী, নাট্যাভিনেতা ও লেখক ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নৃত্যশিল্পী শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী। সভাপতি তার বক্তৃতায় এ উৎসব সফলভাবে আয়োজন করার জন্য অনুষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আহ্বান জানান। এছাড়াও মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সহঃ সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ডাকসুর সংস্কৃতি স¤পাদক আসিফ তালুকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি রাগীব রহমান এবং সংগঠনের সাধারণ স¤পাদক ফয়সাল মাহমুদ। দিনব্যাপী এই আয়োজনে ছিল নাগরদোলা, বানর নাচ, পুতুল নাচ, বায়োস্কোপ, মোরগ লড়াই, পুঁথিপাঠ, কীর্তন, টিয়া পাখির সাহায্যে ভাগ্য গণনাসহ ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ সংস্কৃতির বাহারি আয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছাড়াও উৎসবের শেষ ভাগে কনসার্টে সঙ্গীত পরিবেশন করে ব্যান্ডদল দলছুট, গানকবি এবং কৃষ্ণপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।