প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এর প্রায় সব শিল্পী ও কলাকুশলী এখন আর বেঁচে নেই। তবে এখনো বেঁচে আছেন সিনেমাটির সহ-নায়িকা হিসেবে অভিনয় করা পেয়ারী বেগম। এ সিনেমাই ছিল তার প্রথম ও শেষ চলচ্চিত্র। এরপর সুযোগ পেলেও অভিনয় করেননি। তবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে এখনো বেঁচে আছেন পেয়ারী বেগম। এ অভিনেত্রীর হঠাৎ দেখা মিলেছে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ৩৮ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে তাকে অতিথি করে আনা হয়। অনুষ্ঠানে এসে তিনি তার ক্ষোভের কথা জানান। ক্ষোভের সাথে বলেন, আমরা কখনোই মূল্যায়িত হইনি। কেউ কখনো কোনো অনুষ্ঠানে ডাকে না। কখনো কেউ খবরও নেন না। তাই আমিও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের দিয়ে চলচ্চিত্রের সূচনা হয়। কিন্তু আমরা চলচ্চিত্রের কোনো অনুষ্ঠানে কখনো আমন্ত্রণ পাই না। বিষয়টা নিয়ে মনের মধ্যে খারাপলাগা কাজ করে। ইচ্ছে করে বিভিন্ন চলচ্চিত্রের অনুষ্ঠানে যেতে। আমরা আমাদের পাপ্য সম্মানটুকু যাতে পাই। উল্লেখ্য, মুখ ও মুখোশ-এ যখন পেয়ারী বেগম কাজ শুরু করেন তখন তিনি ইডেন কলেজে ইন্টারমিডিয়েটের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে তিনি এবং তার একজন বান্ধবী মিলে অডিশন দিতে যান। তিনি জানান, চলচ্চিত্রে অভিনয়ে আসার আগে আমি মঞ্চে অভিনয় ও রেডিওতে নিয়মিত গান করতাম। তখন মধুবালা, সুরাইয়া ও নার্গিসের সিনেমা দেখতাম। তখন তাদের দেখে মনের মধ্যে খুব ইচ্ছে করতো নায়িকা হবার। হাঠাৎ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখলাম আব্দুল জব্বার খান সিনেমা বানাবেন। এর জন্য নায়িকা খুঁজছেন। তখন আমি এবং আমার এক বান্ধবী মিলে আব্দুল জব্বার খানের কাছে অডিশন দিতে যাই। তিনি আমাদের অডিশন নিলেন এবং আমাদের দুইজনকেই অভিনয়ের জন্য চ‚ড়ান্ত করেন। মুখ ও মুখোশ-এ অভিনয় করার পর আরো সিনেমায় অভিনয় করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরিবার ও সামাজিক অবস্থা প্রতিক‚লে থাকায় আর কাজ করতে পারেননি। তিনি বলেন, আমরা যখন কাজ করেছি তখন আমাদের পরিবার ও সমাজ এটা সাপোর্ট করতো না। আমার স্বামীও চায়নি আমি কাজ করি। তাই আর কোনো ছবিতে অভিনয় করিনি। পরিবার নিয়ে এখন সময় কাটান পেয়ারী। তার স্বামী আমিনুল হক মারা গেছেন ২০১১ সালে। তিনিই ছিলেন মুখ ও মুখোশে পেয়ারীর নায়ক। আমি এখন ছেলে, ছেলের বৌ ও নাতি-নাতিকে নিয়ে সারাদিন আনন্দে নিয়ে সময় কাটাই। এখন শরীরও অনেক অসুস্থ থাকে। মাঝে মাঝে মুখ ও মুখোশের কথা মনে হলে অন্য রকম একটা ভালোলাগা সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য, মুখ ও মুখোশ মুক্তি পায় ১৯৫৬ সালে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।