নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্রিজে ঝড় তুললেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, রানের দেখা পেলেন বিরাট কোহলিও। এরপরও জিততে পারল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে দারুণ এক জয় উপহার দিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও লাসিথ মালিঙ্গা।
বুধবার বেঙ্গালুরুর এম চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় আইপিএলের সপ্তম ম্যাচে কোহলির দলকে ৬ রানে হারায় রোহিত শর্মার দল। মুম্বাইয়ের করা ৮ উইকেটে ১৮৭ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ১৮১ রানে থেমে যায় বেঙ্গালুরুর ইনিংস। আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেল মুম্বাই। অন্যদিকে দ্বিতীয় ম্যাচেও হারল বেঙ্গালুরু।
হারের পর কোহলি সমালোচনা করেছেন আম্পায়ারকে। মালিঙ্গার করা ম্যাচের শেষ বলে এক রান নিতে পারেন শিভাম দুবে, করতে হত ৭ রান। রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি ওভার স্টেপিং নো ছিল। কিন্তু তা বেমালুম আম্পায়েরের চোখ এড়িয়ে যায়। এত বড় নো কিভাবে আম্পায়ারের চোখ এড়ালো প্রশ্ন কোহলির, ‘আমরা আইপিএল পর্যায়ের খেলা করছি, ক্লাব ক্রিকেট নয়। শেষ বলের ডাকটা ছিল হাস্যকর। আম্পায়ারদের চোখ খোলা রাখা উচিত।’ শেষ বল নিয়ে হতাশা লুকাননি বিজয়ী অধিনায়ক রোহিতও। তবে ক্রিকেটে কখনো এমন হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
১২ বলে বেঙ্গালুরুর করতে হত ২২। জাসপ্রিত বুমরাহ বোলিংয়ে এসে ৫ রান দিয়ে তুলে নেন ডি গ্যান্ডহোমের উইকেট। ক্রিজে তখনও ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু মালিঙ্গার মত বোলার থাকলে শেষ ওভারে ১৭ রানের হিসাব মেলানো কঠিন। প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানোর পরও তাই পারেননি শিভাম দুবে ও ডি ভিলিয়ার্স।
অথচ টপ অর্ডারের দৃড়তায় জয়ের শক্ত ভিত তৈরী করেছিল বেঙ্গালুরু। ২৪ বলে করতে হত ৪১ রান, গাতে ৭ উইকেট। এরপরও হিসাবটা মেলাতে পারেনি স্বাগতিকরা। ২২ বলে ৩১ করেন পার্থিব প্যাটেল। কোহলি করেন ৩২ বলে ৪৬। ৪১ বলে ৬ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে ৭০ রানে অপরাজিত থেকে যান ডি ভিলিয়ার্স। শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মারকুটে ব্যাটসম্যান তেমন স্ট্রাইক পাননি।
এর আগে টস হেরে ব্যাটে নামা মুম্বাই ফিফটি রানের উদ্বোধনী জুটি পেয়ে যায়। কুইন্টন ডি কক তেমন সুবিধা করতে না পারলেও আরেক ওপেনার রোহিত খেলেন ৩৩ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। তিনে নেমে সুরিয়াকুমার যাদব করেন ২৪ বলে ৩৮। ৩ উইকেটে ১৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১৪০ রান। শেষ ৫ ওভারে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বেঙ্গালুরুর বোলারা। ষোড়োশ ওভারে সুরিয়া ও পোলার্ডকে তুলে নেন যোগেন্দ্র চাহাল। এর আগে ডি কক ও যুবরাজ সিংয়ের উইকেটও নেন এই লেগ স্পিনার। শেষ দিকে ১৪ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ক্যামিও আসে হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাট থেকে। দুটি করে উইকেট নেন উমেশ যাদব ও মোহাম্মাদ সিরাজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মুম্বাই : ২০ ওভারে ১৮৭/৮ (ডি কক ২৩, রোহিত ৪৮, সুরিয়া ৩৮, যুবরাজ ২৩, পোলার্ড ৫, ক্রুনাল ১, হার্দিক ৩২*, ম্যাকক্লেগান ১, মার্কান্দে ৬, বুমরাহ ০*; উমেশ ২/২৬, সাইনি ০/৪০, সিরাজ ২/৩৮, চাহাল ৪/৩৮, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/২৭, মঈন ০/১৩)।
বেঙ্গালুরু : ২০ ওভারে ১৮১ (প্যাটেল ৩১, মঈন ১৩, কোহলি ৪৬, ডি ভিলিয়ার্স ৭০*, হেটমেয়ার ৫, ডি গ্র্যান্ডহোম ২, দুবে ৯*; ম্যাকক্লেগান ০/২৪, মালিঙ্গা ০/৪৭, বুমরাহ ৩/২০, হার্দিক ০/৩৭, ক্রুনাল ০/২৮, মার্কান্দে ১/২৩)।
ফল : মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৬ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : জাসপ্রিত বুমরাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।