পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাকশালকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-বাকশাল মানুষের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে গোটা জাতি আঁতকে উঠেছে, তাঁর এই বক্তব্য শুধু গণতন্ত্র নয়, নাগরিক স্বাধীনতাকে মৃত্যুর দক্ষিণ বাহু দিয়ে পেঁচিয়ে ফেলার আগাম আভাস। বাকশাল হচ্ছে মত প্রকাশের স্বাধীনতার মৃত্যু পরোয়ানা। বাকশাল মানেই হচ্ছে আওয়ামী লীগ ছাড়া এদেশে আর কোন দল থাকবে না। তাদের পোষ্য গণমাধ্যম ছাড়া আর কোন গণমাধ্যম থাকবে না। তাদের বিরদ্ধে কেউ টু শব্দটি উচ্চারণ করতে পারবে না। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে না। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাকশাল মানেই হচ্ছে রাষ্ট্র-সমাজ থেকে প্রাণখুলে কথা বলা ও হাসি-কান্নার বদলে মানুষের ফিসফিস করে কথা বলা। বাকশাল মানেই হাজার হাজার গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের বেকার হওয়, নিজের ছায়াকেও ভয় পাওয়া, শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে পরীক্ষা না দিয়ে পাশ করা, মেধাহীন জাতি গঠন করা। প্রধানমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীনরা বাকশাল নিয়ে গলাবাজী ও অপপ্রচারের যতই কেমেস্ট্রি তৈরি করুন না কেন বাকশাল হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত।
বাকশাল গঠন করতেই বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, জামিনযোগ্য মামলাগুলোতে হুকুম দিয়ে জামিন বাধাপ্রাপ্ত করা হচ্ছে। তার প্রতি সরকারের এই ধরণের অন্যায় আচরণই হচ্ছে বাকশালের আলামত। পুনরায় গণতন্ত্রের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে পিতার ব্যর্থতাকে ঢেকে দিতে চান শেখ হাসিনা। তাঁর সামান্য সমালোচনা করায় কৃতি ফুটবলার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বরেণ্য সাংবাদিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ শতাধিক আলোকিত ব্যক্তি আইসিটি আইনে মামলা খেয়ে এখন কারাগারে কিংবা কেউ কেউ জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে মামলার খড়গ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাকশাল এমন একটি ব্যবস্থা, যা সরকারের বিরুদ্ধে নিভৃতে সামান্য সমালোচনার সন্ধান পেলেই আনন্দোচ্ছলে চলবে বিরোধী নেতাকর্মী ও ভিন্ন মতাবলম্বীদেরকে গুম-খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যার লীলা।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এখন বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে তিনি একটি অস্বাস্থ্যকর ও পরিত্যক্ত কারাগারের মধ্যে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। নির্মম-নিষ্ঠুর নিপীড়ণের মাঝে বিনা চিকিৎসায় পুরাতন জরাজীর্ণ আবদ্ধ কারাগারে বন্দী করে রাখার উদ্দেশ্যই হচ্ছে এক অনন্ত প্রতিহিংসার জ্বালা মেটানো। দেশনেত্রীকে সরকার সরাসরি গলা টিপে হত্যা না করে এভাবে বিনা চিকিৎসায় অন্ধকার কারাগারে আটকিয়ে রেখে তিলে তিলে হত্যা করার চেষ্টা করছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, অনেক অত্যাচার ও জ্বালা-যন্ত্রণা দিচ্ছেন দেশনেত্রীকে এক বছরের বেশী সময় কারাগারে আটকিয়ে রেখে কষ্ট দেয়ার পরেও কেন প্রতিহিংসা শেষ হচ্ছে না। এবার তাঁকে মুক্তি দিন।
খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তরের চিন্তা-ভাবনার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, দেশনেত্রীকে চিকিৎসা না দেয়ার বিষয়ে সরকারের প্রতি দেশবাসীর যে ধিক্কার উঠেছে সেটিকে আমলে না নিয়ে নাৎসীবাদী পন্থায় তারা তাদের মনুষ্যত্বহীন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেই চলেছে। কেরানীগঞ্জ কারাগারের নির্মান কাজ এখনও শেষ হয়নি। সেখানে গ্যাস-পানির এখনও তেমন কোন সুবন্দোবস্ত নেই। নির্মানাধীন একটি কারাগারে খালেদা জিয়াকে স্থানান্তরের সরকারী চিন্তা-ভাবনা মনুষ্যত্বহীন কাজ।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশনেত্রী বেগম জিয়ার প্রতি জুলুমের উগ্রগতি বন্ধ করুন। তাঁকে নিয়ে রাজনৈতিক ধূর্তামি বন্ধ করুন। এই মূহুর্তে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে তাঁর সুচিকিৎসা প্রাপ্তির বন্ধ করা পথকে খুলে দিন। মানুষ এই সরকারের কৃত অশান্তির আগুনে ভেতরে ভেতরে দগ্ধ হচ্ছে। দেশনেত্রীর জীবন নিয়ে এই ছিনিমিনি খেলায় জনগণ ক্ষোভে অগ্নিবর্ণ হয়ে উঠেছে। এই সীমাহীন অন্যায়ের জবাব জনগণ একদিন দেবে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, আবদুল আউয়াল খান, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।