পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, অন্যায়ে লিপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, কিন্তু কোন নিরাপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি বিষয় সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে, যারা অন্যায় করবে সে যেই হোক, অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে, সাথে সাথে এটাও দেখতে হবে যে, অযথা কোন মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়।
গতকাল সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরে র্যাবের ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দরবারে র্যাব সদস্যদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। কোন আইন প্রয়োগের সময় মানবাধিকারের বিষয়টার প্রতি লক্ষ্য রেখেই ‘দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন’ এই নীতি অবলম্বন করেই প্রধানমন্ত্রী র্যাব সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের প্রতি কাজ করার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আজকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো সহজ হয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের একটা রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। তবে, এই উন্নয়নের ধারাটা তখনই অব্যাহত থাকবে যথন আমরা দেশে বর্তমানের ন্যায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারি। তিনি অপরাধ প্রবণতা বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি অপরাধ প্রবণতায় যুক্ত হওয়া প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে র্যাবের সদস্যদের নজর দেওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন,অপরাধ যারা করবে অর্থাৎ অপরাধীকে গ্রেফতার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা সেটাও যেমন আমাদের কাজ তেমনি অপরাধের সাথে কেউ যেন যুক্ত না হয় সেই ব্যবস্থাটাও আমাদের নিতে হবে। আর সেটা করতে হলে একটা সমাজিক সচেতনটা সৃষ্টি করা দরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি সকলকে এই কথাটা সকলের উদ্দেশ্যে বলবো, আপনারা সকলে সেই বিষয়টার প্রতি দৃষ্টি দেবেন যেন কোন ধরনের অপরাধের সঙ্গে কেউ যেন যুক্ত না হয়।
র্যাবের কার্যক্রমকে আরো গতিশীলকরণে তার সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণে, জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। এ সময় কয়েক দফায় বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, আবাসন সংকট সমাধান এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে যানবাহনের সুবিধা বৃদ্ধিতে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এবং মাদক দ্রব্য উদ্ধার, জাল মুদ্রা, জাল পাসপোর্ট প্রস্তুতকারি, অবৈধ ভিওআইপি বিরোধী অভিযান এবং ভেজাল বিরোধী সহ নানা অভিযানে র্যাব অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এবং অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিষাক্ত কুফল তুলে ধরে এর কারণে একটি পরিবার ও সমাজ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এ সময় সরকারের জঙ্গিবাদ বিরোধী গণসচেতন কার্যক্রমের ন্যায় সকলকে সম্পৃক্ত করে সমন্বিত কর্মসূচি চালুর বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি দমনে র্যাবের সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, জঙ্গিবাদ কেবল বাংলাদেশে নয় একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমরা চাই ভবিষ্যতে আর কখনও এদেশে যেন জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। জঙ্গিবাদ সৃষ্টির পেছনে অতীতে কতিপয় রাজনৈতিক দলের মদদ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে তিন বাহিনী প্রধানগণ, সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ন্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, পুলিশের আইজিপি সহ পুলিশ ও র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মহাপরিচালক বিজিবি, মহাপরিচালক আনসার ও ভিডিপি এবং কোষ্ট গার্ডের মহাপরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ভিডিও লিংকেজের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন র্যাব ফোর্সেস ইউনিটের সদস্যরাও অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালে র্যাব ফোর্সেস এর অভিযানিক সাফল্য নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী কুর্মিটোলায় র্যাব ফোর্সেস এর সদর দপ্তরে পৌঁছলে তাকে র্যাবের একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।