পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : নিরীহ মুসলিমদের অযথা হয়রানি করবেন না, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সোমবার দেখা করে এমনটাই বলেছেন বিশিষ্ট মুসলিম নেতা সৈয়দ আহমদ বুখারি। তিনি বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের নাম করে নিরপরাধ মুসলিমদের নাকাল করা উচিত নয়। মোদির বাড়িতে আধা ঘণ্টা সাক্ষাতে দিল্লি জামে মসজিদের শাহি ইমাম বলেন, জঙ্গি সন্দেহে কাউকে আটকের সময় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে আরও বেশি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
বুখারি জানিয়েছেন, একটা বড়সংখ্যক মুসলিম যুবক সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে জেলে বন্দি রয়েছে। তার আর্জি, যখন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে বা আইএসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কাউকে ধরা হবে, তখন যেন ভুল করে অযথা কোনো মুসলিম যুবক বা তার পরিবারকে জড়ানো না হয়। তাতে ছেলেটির জীবন যেন তছনছ না হয়ে যায়, সেই ব্যাপারটি লক্ষ্য রাখতে হবে।
এছাড়া আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়ায় সংখ্যালঘু চরিত্রের ইস্যুটিও মোদির কাছে তুলেছিলেন তিনি। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে সরকারের যে দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে, তা মুসলিম সম্প্রদায়কে চিন্তিত করছে। বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য মোদির কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, সন্ত্রাসের অভিযোগে বিপুল সংখ্যক মুসলিম যুবক জেলে রয়েছে। তাদের এভাবে আটকে রাখার আগে স্বচ্ছতা রক্ষা করা উচিত বলে মত দেন বুখারি। জবাবে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হুমকিতে পড়ে এমন কোনো পদক্ষেপ সরকার নেবে না। গত কয়েক মাসে জিহাদি ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড বেশকিছু যুবককে আটক করেছে। সূত্র : জি নিউজ, এবিপি আনন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।