পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ অগ্নিকাÐের পর পরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। এমনকি হেলিকপ্টারেও চলে উদ্ধার কাজ। কিন্তু আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এফআর টাওয়ারের নিচে ভিড় জমাতে শুরু করেন উৎসুক জনতা। তাদের কেউ ছবি তুলছেন কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। কেউ আবার আসছেন লাইভে। তাদের কারণে প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীদের। ওই ভবনে আটেক পড়া মানুষের স্বজনরাও ভিড় জমিয়েছে নিচে। জনতার ভিড়ে তারাও পড়েন বিপাকে।
ভবনের কামাল আতার্তুক রোড থেকে গুলশানগামী সড়ক, মূল রাস্তাসহ পুরো দুই রোডে মানুষ আর মানুষ। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাঁশির বাজিয়ে ও অনুরোধ করেও তাদের সরাতে পারেননি। পাঁচ শতাধিক সেনা সদস্য, পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা সেখানে উদ্ধার কাজে অংশ নেন।
প্রত্যক্ষদর্শী, গণমাধ্যম কর্মী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের বর্ণনা মতে যে সকল উৎসুক জনতা কোনো কারণ ছাড়াই দাঁড়িয়ে কেবল ছবি তুলেন ও তাকিয়ে দেখেন উদ্ধার তৎপরতায় তারাই সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন।
এদিকে বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। ঘটনাস্থলে ভিড় করা উৎসুক জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের অনুরোধ করছি-এখান থেকে সরে যান। এখানে অযথা ভিড় করবেন না। এতে করে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ধার কর্মীরা স্বাভাবিকভাবে তাদের কাজ করতে পারছে না। আপনারা তাদের সহযোগিতা করুন। এখান থেকে সরে যাওয়াটাই সহযোগিতা।
নিখোঁজদের সন্ধানে ছবি হাতে স্বজনেরা
বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের সময়ে সেখানে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধানে ঘটনাস্থলে ছুটে আসছেন তাদের স্বজনেরা। যাকেই পাচ্ছেন ছবি দেখিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করছেন নিজেদের নিখোঁজ স্বজনদের কথা।
রাজধানীর মিরপুর থেকে বড় ভাই মোতাহার হোসেনের (৪১) খোঁজে আসেন ছোট ভাই মহিউদ্দিন হোসেন। ভবনটির ১৪ তলায় থাকা ডার্ড গ্রæপের একটি অফিসে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত তিনি। বেলা আড়াইটার দিকে শেষ বার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মহিউদ্দিন। এরপর থেকে মোবাইল বন্ধ।
ভাগ্নি অপরাচিতা বড়–য়ার খোঁজে এসেছিলেন খালা সঙ্গীতা দে। ভবনটির একটি অফিসে কাজ করেন অপরাচিতা। ১৩ তলার একটি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফ। তার খোঁজে এসেছিলেন শ্যালিকা হাসিনা খাতুন।
আটতলার একটি প্রতিষ্ঠান আসিফ ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম রাজু। প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বের হয়ে এলেও নিখোঁজ রাজুসহ চারজন। তার খোঁজে এসেছিলেন স্ত্রী রাবেয়া আক্তার। আগুন লাগার আগে পৌনে ১২টায় শেষবার শুনেছিলেন স্বামীর কণ্ঠস্বর। আগুন লাগার পর থেকে নিজেই একরকম বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সেনাবাহিনী এমনকি সাংবাদিকদেরকেও জিজ্ঞেস করছেন স্বামীর খোঁজ। ছবি দেখিয়ে জানতে চাইছেন তাকে কেউ দেখেছে কি না। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বনানীর ওই এলাকায় বাড়তে থাকে স্বজনদের ভিড়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।