পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল উল্লেখ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, এখানে সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেইসাথে ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং মানবিক সমাজ গঠনেও সরকার কাজ করছে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন বøুর মেজবান হলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রিভেনশন অব জেনোসাইড বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা অ্যাডামা ডিয়েঙ্গ বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ‚য়সী প্রশংসা করেন। জাতিসংঘ চায় রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যাক।
‘শান্তিপূর্ণ ও সম্প্রীতির সমাজ প্রতিষ্ঠায়’ ধর্মীয় নেতাদের ভ‚মিকা শীর্ষক এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ইউএনডিপি ও সেভ অ্যান্ড সার্ভিস ফাউন্ডেশন। দিনব্যাপী তিন পর্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভা ও কর্মশালায় জাতিসংঘ, ইউএনডিপি, ইউএনএসসিআরসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, আলেম-ওলামা ছাড়াও বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বলেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে পরধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। দেশের প্রতিটি এলাকায় হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা হিসেবে বিশ্ববাসীর দরবারে পরিচিত হয়েছেন। তারা যতদিন থাকবেন তাদের ভালোভাবেই এখানে রাখা হবে। তিনি রোহিঙ্গ শরণার্থীদের সসম্মানে নিজ ভ‚মিতে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও বেশি জোরালো ভ‚মিকা প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তবে তাদেরও নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার অধিকার রয়েছে। বিশ্ব সম্প্রদায়কে তাদের সে অধিকার আদায়ে সোচ্চার হতে হবে।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডামা ডিয়েঙ্গ বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নজির সৃষ্টি করেছেন তা বিশ্বে বিরল। জাতিসংঘ চায় রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে পুনর্বাসিত হোক এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ ও বৃহত্তর সমাজ গড়ে উঠুক। এ লক্ষ্যে জাতিসংঘ কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। রোহিঙ্গাদের চাপে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর নানা রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ প্রতিবেশীদের জন্য চরম ত্যাগ স্বীকার করছে।
এতে সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাÐারী, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ, সৈয়দ তৈয়বুল বাশার বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।