পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, দেশ সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে, রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। রাজনীতিকরা দুর্নীতি না করলে বাংলাদেশে দুর্নীতির ৫০ ভাগ ৭ দিনে বন্ধ হয়ে যেতো। এটা মনে প্রাণে সরকারকে বিশ্বাস করতে হবে। তিনি বলেন, দেশে গণমুখী প্রশাসন নেই। আর গণমুখী প্রশাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া স্বাধীনতার সুফল জনগণ পাবে না। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের আকরম খাঁ হলে বাংলাদেশ জনতা লীগের উদ্যোগে ‘চলমান রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এবং স্বাধীনতার ৪৮ বছর প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দুর্নীতি মুক্ত রাজনীতির প্রত্যাশা করে বি চৌধুরী বলেন, দেশ সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত হতে হলে, দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি হতে হবে। রাজনীতি যারা করে তারা যদি দুর্নীতি মুক্ত হতে পারেন বাকীরা সব দুর্নীতিমুক্ত হবে। রাজনৈতিকদের মধ্যে যদি স্বার্থন্বেষী ও দুর্নীতিবাজ মানুষ থাকেন তাহলে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন তৈরি করা শক্ত কঠিন। রাজনীতি কুলষমুক্ত করতে হলে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।
বি চৌধুরী বলেন, দেশে এমন একটা প্রশাসন থাকবে যে প্রশাসন বৃটিশ প্রশাসনের মতো নয়, পাকিস্তানি প্রশাসনের মতো নয়, যে প্রশাসন গণমুখী বাংলাদেশের প্রশাসন। যে পর্যন্ত পুলিশকে আমরা ভয় পাবো না, পুলিশ দেখলে কেউ ভয়ে পালিয়ে যাবেন না। আপনার বন্ধু আসছে- এরকম প্রশাসন কী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? যে প্রশাসনের কাছে স্বাভাবিক কাজ আদায় করতে গেলে ঘুষ চায়, পয়সা চায়- সেটা কী গণমুখী প্রশাসন?
তিনি বলেন, আমি মনে করি, ৬টি জিনিস যেদিন আমরা অর্জন করতে পারবো আমাদের স্বাধীনতা সেদিন পরিপূর্ণ ও সার্থক হবে। দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ, সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ এবং বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার বাংলাদেশ এবং শিশু-নারীসহ সমাজের বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার বাংলাদেশ। যেদিন আমাদের মা-বোনেরা নিসঙ্কোচ চিত্তে রাস্তায় হাঁটতে পারবেন, যেদিন নারী ও শিশুরা নির্যাতিত হবে না, যেদিন নারীরা ধর্ষিত হবে না, সেদিন হবে সত্যিকারের স্বাধীন বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার অন্যতম দাবি গণতন্ত্রের দাবি। গণতন্ত্রের মাধ্যমে দেশের সব মানুষের মতামতের প্রতিফলন হবে এবং তার ফলে দেশের মানুষ কথা বলতে পারবে, দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে। সেই ভোট সঠিকভাবে গণনা হবে। তার মধ্যে গণতন্ত্রের যে অধিকার, গণমানুষের আশা-আকাংখা প্রতিফলিত হবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠত হবে। এই অর্জন খুব সহজ নয়। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের মতো দেশে। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মূল্যবোধ এখনো সঠিকভাবে গড়ে উঠেনি।
বাংলাদেশ জনতা লীগের চেয়ারম্যান শেখ ওসমান গনি বেলালের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব সরকার জামালের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএলডিপি‘র চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, যুক্তফ্রন্টের সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ এর সহসভাপতি মাহমুদা চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল গিয়াস উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।