রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুষ্টিয়ার জগন্নাথপুর, দয়ারামপুরে ঐতিহ্যবাহী মহিষের দধি ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। এ অঞ্চলে বিয়ে, জন্মদিন, আকিকাসহ যে কোনো উৎসবে মহিষের দধির বিকল্প ছিল না। দধি ছাড়া সকল আয়োজনই ছিল অসম্পূর্ণ। অতিথি আপ্যায়নে এই দধি ছিল মুখ্য। দামেও ছিল সস্তা অথচ সময়ের ব্যবধানে মহিষের দধি ঐতিহ্য হারিয়ে এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। মহিষের দধির চাহিদা পুরণ করছে কুষ্টিয়া কুমারখালীর দই।
জানা যায়, কুষ্টিয়া কুমারখালী ও খোকসা চরাঞ্চলে মহিষ পালন করতো স্থানীয়রা। সেই সাথে এ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মহিষের খামার গড়ে উঠেছিল। কিন্ত বিভিন্ন কারণে মহিষের সেসব খামার বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে মহিষের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। যে কারণে মহিষের দুধ উৎপাদন একেবারেই কমে গেছে। বর্তমানে খাঁটি মহিষের দুধ ও দধি পাওয়া মুশকিল। টালি (দধির পাত্র) ভর্তি যে সব দধি বাজারে পাওয়া যায় সে সব দধি গরু ও মহিষের দুধে মিশ্রিত।
কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর মহেন্দ্রপুর গ্রামে মহিষের খামার ছিল। সেসব খামারে উৎপাদন হতো মহিষের দুধ। গোয়ালদের কাছ থেকে দুধ ব্যবসায়ীরা মহিষের দুধ সংগ্রহ করে জেলা শহরের বিভিন্ন বাজার ছাড়াও দেশের বাইরে পাঠানো হতো।
গ্রামের ঘোষরা মহিষের দুধ দিয়ে দধি বসাতো। তখনকার দুধ ও দইয়ের মজাই আলাদা। এখন দধির স্বাদ, গন্ধ আগের মত আর নেই। এতে করে দিন-দিন এই দধির ঐতিহ্য হারিয়ে যাচেছ। মহিষের দুধ ও দধির স্থান দখল করে দেশি ও বিদেশি গরুর দুধ। বেশি দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যে জেলার খামারীরা গরু পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফলে মহিষ পালন না করায় মহিষের দুধ আর উৎপাদন হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।