মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পুলওয়ামা হামলা নিয়ে ভারতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তি নেই— জানিয়ে দিল ইসলামাবাদ। পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের দেওয়া তথ্যপ্রমাণের উপর ভিত্তি করে তদন্তে উঠে আসা প্রাথমিক নথিপত্র তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। ইসলামাবাদের দাবি, ওই তদন্তেই স্পষ্ট, পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও যোগ নেই। যে ২২টি জঙ্গি ঘাঁটির তথ্য ভারত দিয়েছিল, ওই সব জায়গায় এ রকম কোনও ঘাঁটির অস্তিত্ব নেই বলেও দাবি ইমরান খান সরকারের। তাই নয়াদিল্লির কাছে আরও তথ্যপ্রমাণ চেয়েছে পাকিস্তান।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মুর পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। নিহত হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। ওই ঘটনায় জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ দায় স্বীকার করে। তবে তাদেরকে পৃষ্ঠপোশকতার অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান। তাই ওই সময় পাকিস্তানের হাতে পুলওয়ামা হামলার তথ্যপ্রমাণ তুলে দেয় ভারত।
বুধবার পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার প্রেক্ষিতে ভারতের দেওয়া তথ্যপ্রমাণের সূত্রে তদন্ত করে প্রাথমিক রিপোর্ট নয়াদিল্লিকে দেওয়া হয়েছে। এই তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা ভারতের কাছে আরও তথ্যপ্রমাণ চেয়ে পাঠিয়েছি।’ সূত্রের খবর, ইসলামাবাদে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দফতরে ডেকে ওই নথিপত্র তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পাক সংবাদ মাধ্যম এবং সরকারি সূত্রে বলা হয়, জঙ্গি সন্দেহে ৫৪ জনকে আটক করেছে পাক সরকার। এ দিনের বিবৃতিতে পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, ‘ওই ৫৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কারও সঙ্গেই পুলওয়ামা হামলার যোগসূত্র মেলেনি।’
ভারতের দেওয়া নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছিল, পাক অধিকৃত কাশ্মীর, বালাকোট-সহ পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অন্তত ২২টি জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে। পাকিস্তানের দাবি, ওই ২২টি জায়গাতেই পরিদর্শন করা হয়েছে এবং খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও জঙ্গি ঘাঁটির অস্তিত্ব মেলেনি।
পুলওয়ামা হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিল আদিল দার। তদন্তে উঠে এসেছে এই আদিল দারই গাড়ি নিয়ে সিআরপিএফ কনভয়ে ঢুকে আত্মঘাতী হামলা চালায়। ওই ঘটনার পর আদিল দারের একটি ভিডিয়ো সংবাদ মাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তদন্তে আরও উঠে আসে, ওই সময় হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামের মতো ইন্টারনেট বেসড মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছিল জঙ্গিরা। পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আদিল দার যে জিএসএম সিমটি ব্যবহার করছিল, সেটি ভারতের। আদিল দারের ওই নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপের কল রেকর্ডস, মেসেজ সহ যাবতীয় তথ্য পেতে মার্কিন সরকারের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইমরান খানের সরকার। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।