বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অনিয়ম রোধে মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের জাজিরায় ১৯শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাওয়া শেখ হাসিনা তাঁত পল্লীর পূর্ব নির্ধারিত স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী এমপি। চীফ হুইপ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এসময় চীফ হুইপ ভবিষ্যতে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন।
এসময় চীফ হুইপ বলেন, শেখ হাসিনা তাঁত পল্লীর নির্ধারিত স্থানে অবৈধ স্থাপনা নিয়ে টিভি, পত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত নিউজ দেখে ও তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দেখা গেছে এখানে ভাল কিছু হচ্ছে না। আমাদের নির্দেশনায় মাদারীপুরের প্রশাসন অবৈধ সকল স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলেছে। কিন্তু শরীয়তপুরের প্রশাসন কোন কার্যক্রম গ্রহণ করেনি। গত ২৪ মার্চ পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর্জা আজম, সংলগ্ন সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সবাই একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সকল এলাকায় অবৈধভাবে ঘর-বাড়ি, গাছপালাসহ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে সে সকল এলাকা এই প্রকল্প থেকে বাদ দেয়া হবে। আর অপর দিকে দুই জেলায় এমন একটি প্রকল্প করতে গেলে শুধু এই অনিয়মই নয় ভবিৎষতে আরো কিছু সমস্যা হবে। যেমন আইন শৃঙ্খলা অবনতি হলে নিয়ন্ত্রণে জটিলতা সৃষ্টি হবে। তাই সংসদীয় কমিটি, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সবাই একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আমরা শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী একই উপজেলায় করবো। আর এ জন্য মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ সময় মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সজল নূর, শিবচর পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম পাঠক, সহকারী পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল নোমান, নব নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএম আতাউর রহমান আতাহার, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আ. লতিফ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম, পৌরসভা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তোতা খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ’শেখ হাসিনা তাত পল্লী’র ভিত্তিপ্রস্তর করেন। প্রকল্পটির জন্য জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে ৬০ একর ও শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবায় ৪৮ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল । ভিত্তিপ্রস্তরের পর সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে ওই জমির মালিক ও এক শ্রেণীর দালাল চক্র শত শত ঘরসহ স্থাপনা নির্মাণ ও গাছ লাগানো শুরু করে। এনিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত ২৬ জানুয়ারি চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করলে জেলার শিবচরে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে প্রশাসন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।