ব্যর্থতার ভিতে গড়ে তুলতে হবে সাফল্যের সুউচ্চ মিনার
আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্বাধীনতা দিবসের ক্রোড়পত্রে প্রকাশের জন্যে দৈনিক ইনকিলাবের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে
সি রি য়া র গ ল্প
মেয়েটি আমার কোলে। তুবা। আমার ছোট্ট পরী। সবে তিন বছরে পড়েছে। ঘুম পাড়ানি গান গেয়ে তাকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। কয়েক ঘণ্টা ধরেই কাঁদছিল সে। কিছুতেই থামাতে পারিনি। অবশেষে শান্ত হয়ে এখন ঘুমিয়েছে, থেমেছে কান্না। ওদিকে রাস্তায় লোকজনের কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। এ সময় আরেকটা বিস্ফোরণ ঘটল কাছেই কোথাও। থরথর করে কেঁপে উঠল গোটা বাড়ি। তাতে জেগে উঠল মেয়ে, আবার শুরু হলো তার কান্না। আবার ঘুম পাড়ানি গান গাইতে শুরু করলাম। সে সাথে হাত বুলিয়ে দিতে থাকলাম তার রেশমের মতো চুলে। কিছুক্ষণ পরে কান্না থামে তার, তাকিয়ে থাকে আমার দিকে। ছোট একটি হাত দিয়ে আমার একটি হাত ধরে সে। এর অর্থ হচ্ছে আমি যেন তার কাছ থেকে সরে না যাই। কারণ, সে ভয় পাচ্ছে।
অধিকাংশ বিমান হামলা ঘটে রাতের বেলা। বিমান হামলা মানেই হচ্ছে নির্বিচার বোমা বর্ষণ। আর প্রতিবার বোমা বিস্ফোরণের সাথে সাথে চারপাশ কেঁপে ওঠে। তখন আমি বিছানা থেকে লাফিয়ে নেমে পড়ি। আমার মেয়েকে নিরাপদে রাখতে হব্,ে তার যেন কোনো ক্ষতি না হয়। মেয়ের কান্না শুনলে আমার বুকের মধ্যে মোচড় দেয়। তার জন্মের দিনটির কথা কখনো ভুলি না আমি। জন্মের পর একেবারে এতটুকু একটি শিশু, পিটপিট করে তাকাচ্ছিল। আমার বুকের ভেতর ডানা মেলে উড়ছিল খুশির প্রজাপতিরা। সে কী আনন্দ!
আমি তাকে শান্ত করার জন্য কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলতে থাকি: আমার ছোট্ট মেয়ে, আমার সোনামণি, ভয় পেও না। এই তো আমি তোমার কাছে আছি। আমি তোমাকে রেখে কোথাও যাচ্ছি না মা। মা কি তার তুবা সোনাকে রেখে কোথাও যেতে পারে? কক্ষনো না। তুমি ঘুমাও। ঘুমিয়ে অন্য একটা পৃথিবীর স্বপ্ন দেখ। এ পৃথিবীটাতে অনেক অশান্তি। মানুষের অনেক কষ্ট। জীবনের নিরাপত্তা নেই। পশুরা মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নিচ্ছে। কান্না শোনার কেউ নেই। কান্না শোনার কেউ নেই। কান্না শোনার কেউ নেই। তাদের কলজের টুকরো সন্তানদের। সন্তানহারা মায়ের কান্না শোনার কেউ নেই। মা কি তার সন্তানকে হারিয়ে থাকতে পারে?
কিন্তু আমার চেষ্টা কাজ দেয় না। আমি দেখেছি, আমার ভেতরে যখন উদ্বেগ বা ভয় কাজ করে, কণ্ঠস্বরে তার প্রভাব পড়ে। বেসুরো হয়ে ওঠে গলা, কাঁপতে থাকে, মাধুর্য হারায়। আর মেয়েটি তা টের পায়। অনিশ্চয়তা, দুঃশ্চিন্তার কালো মেঘে আমার মন ভারি হয়ে আছে। একটু পরই চোখ দু’চোখ থেকে গড়িয়ে নামে ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু। আমি একটি আয়রন ফ্যাক্টরিতে কাজ করতাম। চাকরি করতে সাহস লাগে। পরিশ্রম লাগে। তার কোনো অভাব আমার ছিল না। কিন্তু আমার সাহসী হৃদয়ের মাঝে বাস করে একটি সংবেদনশীল সত্তা। সব সময়। তাই, মেয়ে জন্ম নেয়ার পর আর চাকরি করিনি। মেয়েকে সময় দিতে হবে তো!
২.
আজ আমি একা। ছয় মাস হয়ে গেল, আমার স্বামী নিখোঁজ। সিরিয়ার সব জায়গায় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের শহরও বাদ যায়নি। স্বামীর ছিল ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর দোকান। সাহেল স্ট্রিটে। যুদ্ধের ধ্বংসকান্ডের মধ্যেও দোকান চালু রেখেছিলেন তিনি। কারণ, আয়ের আর কোনো উপায় ছিল না। প্রতিদিনের মতো সেদিন সকালেও বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আর ফেরেননি। সেদিন বিমান হামলা হয়েছিল সাহেল স্ট্রিটে। আরো বহু স্টোর ও বাড়িঘরের সাথে ধ্বংসস্ত‚পে পরিণত হয়েছিল ঐ এলাকা। তার কী হয়েছিল জানতে পারিনি। কেউ জানায়ওনি। কে জানাবে? যার যার প্রাণ রক্ষায় সে সে ব্যস্ত। কে কার কথা বলে? কে কার খোঁজ রাখে! আত্মীয়-স্বজনরা কে কোথায় ছড়িয়ে পড়েছে জানি না। তুবা ছিল তার বাবার নয়নের মণি। সে বাবাকে খুঁজে ফেরে।
মেয়েটির ভয় দূর করা দরকার। এটা আমার কর্তব্য। তাই নিজেকে সামাল দেয়ার চেষ্টা করি। গলায় সুর ফিরিয়ে আনতে গুনগুন করে গান গাইতে থাকি। বাড়ির বাইরে নানা আওয়াজের মিশ্রণ ভাসছে বাতাসে। গুলির শব্দ, তাকবির, চিৎকার, কান্না, কাকুতি মিনতি ইত্যাদি। হায়! তিন বছর ধরে সিরিয়া এক জাহান্নামে পরিণত হয়েছে। আর আমাদের এই মাবুজা শহর! কোনো ভাষায়ই বুঝি বলে বোঝানো যাবে না এর অবস্থা। সরকার ক্ষমতায় থাকবেই। একদিকে সরকারবিরোধী বিদ্রোহীরা, অন্যদিকে ইসলামী জঙ্গি গ্রুপগুলো, আরেকদিকে বাশার আল আসাদের বাহিনী। কেউ কাউকে রেয়াত করছে না। শহরের বহু লোক মারা গেছে এ ত্রিমুখী যুদ্ধে। বেশিরভাগ মানুষ পালিয়ে গেছে জীবন বাঁচাতে। চারদিকে শুধু ধ্বংসের ছাপ। আমরা দু’চারজন যারা এখনো রয়ে গেছি সে না থাকারই শামিল। আমাদের ঠিকমত খাবার জোটে না। খাদ্যের নামে কি যে খাই তা বলতে পারব না। ভালো খাবার বলে কী পৃথিবীতে কিছু আছে? ভুলে গেছি তা। দ্রæত যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে আমাদেরও হয় শহর ছেড়ে চলে যেতে হবে না হয় অনাহারে মরতে হবে। কিন্তু কোথায় যাব আমরা? এ পৃথিবীতে কি কোথাও যাবার জায়গা আছে?
এই কিয়ামতের মধ্যে আমার একমাত্র শান্তি আমার মেয়ে। আল্লাহ যেন ওকে তার উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন আমার কাছে। যুদ্ধ শুরুর ক’দিন আগে আমার কোলে এসেছিল সে। এত ধ্বংস, এত কান্না, এত হতাশার মধ্যে তুবাই শুধু আমার সান্ত্বনা। সেই আমার অস্তিত্ব। তাকে ঘিরেই আমার বর্তমান পৃথিবী। তাকে ছাড়া আমি কিছু ভাবতে পারি না।
তুবা আবার কেঁদে ওঠে। তাকে বুকে তুলে নেই। তার দু’টি কচি ঠোঁটের উপর আলতো করে ডান হাতের তর্জনি রেখে বলি-‘স্ স্ স্ ... আমার ছোট্ট সোনা, শব্দ করো না। কেঁদো না। এই দেখ, তোমার মাম্মা তোমার জন্য এখন একটি ঘুঘু পাখি শিকার করে আনতে যাচ্ছে।’
মেয়েকে মিথ্যা কথা বলে ভোলানোর চেষ্টা আর কি। আমি তাকে শান্ত করার জন্য গলায় গুনগুন সুর তুলতেই একটি প্রচন্ড গর্জন শোনা যায়- ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও।’
বুকটা কেঁপে ওঠে। কে কার প্রাণ নিতে যাচ্ছে কে জানে? জীবন এখন এত সস্তা যে কেউ চাইলেই কাউকে মেরে ফেলতে পারে। হত্যার জন্য কাউকে কোনা জবাবদিহি করতে হয় না। এক সময়, মানে এ গৃহযুদ্ধ শুরুর আগেও দেশে আইন-আদালত ছিল। তখন কেউ কাউকে হত্যা করলে তার বিচার হত। হয় বহু বছর কারাদন্ড, নয় ফাঁসি। এখন সে সবের কিছুই নেই। বিদ্রোহীরা হামলা করে সরকারী সৈন্যদের উপর, তাদের হত্যা ও বন্দী করে। সরকারী সৈন্যরা টার্গেট করে বিদ্রোহীদের, বিদ্রোহীরা যে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে সে এলাকার জনগণের ওপর চলে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলি, কামান ও মর্টারের গোলা আর জঙ্গি বিমান থেকে বোমাবর্ষণ। একবার নয়- বারবার। সে মৃৃত্যু, সে ধ্বংসের কোনো শেষ নেই। সে নির্মমতা, নৃশংসতার প্রচন্ডতা প্রকাশ করার উপযুক্ত কোনো শব্দ বিশ্বের কোনো ভাষায় নেই। কোনো ক্যামেরাই তুলে ধরতে পারবে না সে ধ্বংসের ছবি। যারা তা দেখেছে শুধু তাদের মন ও চোখই তা রেকর্ড করে রেখেছে। তার তো কোনো কপি হতে পারে না। তারাই শেষ নয়, তাদের পাশাপাশি আছে ইসলামপন্থী গ্রুপগুলো। সিরিয়ায় ইসলামী শারিয়া প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা। সরকারী বাহিনী ও বিদ্রোহীরা উভয়েই তাদের শত্রু। দু’পক্ষের সাথেই তাদের লড়াই চলছে। এভাবে সারাদেশে রক্তের স্রোত বইছে। সিরিয়ার সব কিছু শেষ করে দিচ্ছে এ ভাতৃঘাতী লড়াই। হায়! সিরিয়ার মানুষ কবে থেকে এমন রক্তপিপাসু হলো?
তুবা ঘুমিয়েছে। হঠাৎ কেউ এসে দরজায় কড়া নাড়ে। বুকের ভেতর কেঁপে ওঠে- ওরা আমাদের খুঁজে পেয়েছে। চেহারায় যাতে ভয়ের ছাপ না দেখা যায় সে চেষ্টা করি। আল্লাহকে ডাকি- মেয়েটা যেন জেগে না ওঠে। কিন্তু তা হওয়ার নয়। তুবা ঠিকই জেগে ওঠে, কাঁদতে শুরু করে। সে সময় কারো মরণ চিৎকার চারপাশের নীরবতাকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। মনে হচ্ছে, অসহায় কাউকে ছুিরকাঘাত করে হত্যা করা হচ্ছে।
প্রচন্ড আতঙ্কে আমার সোনামণিকে শরীরের সকল শক্তি দিয়ে বুকের সাথে চেপে ধরলাম। সে কাঁপছে ভয় পেয়ে। ওদিকে দরজায় কড়ানাড়ার আওয়াজ আরো বেড়েছে। ঘরের দরজা বন্ধ। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আগেই সোফাটার প্রান্ত দরজার গায়ে ঠেস দিয়ে রেখেছি। তুবাকে শান্ত রাখতে তার কপালে চুমু খেলাম, চুলে হাত বুলিয়ে দিলাম, আলতো করে কামড়ে দিলাম কানের লতি। আমি জানি এগুলো তার খুব ভালো লাগে। অবশেষে তার শরীরের কাঁপুনি বন্ধ হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়ে আসে। সে আমার কোলে মাথা রাখে। স্বস্তির অনুভূতি নিয়ে চোখ বন্ধ করে ও ঘুমিয়ে যায়। যেন একটি ছোট্ট পরী তার মায়ের কোলে ঘুমাচ্ছে।
আমি স্নেহ ভরা দৃষ্টিতে মেয়েকে দেখতে থাকি। কি মিষ্টি! কি নিষ্পাপ সুন্দর! কি শান্ত! কি মধুর! আহা! সিরিয়ায় বড়দের পাশাপাশি ফুলের মত শিশুদেরও নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। বাড়িঘর, স্কুল, আশ্রয় কেন্দ্র, হাসপাতাল কোথায় হামলা হচ্ছে না? কোথায় শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে না? হত্যাকারীদের কাছে বড়-ছোট বলে কিছু নেই। হামলাকারী হামলা চালাবেই। কে মরল, তাতে তার কিছু আসে যায় না। পথে পথে লাশ ছড়িয়ে থাক, রক্তের নদী বয়ে যাক, সন্তানহারা মা বিলাপ করুক- তারা নির্বিকার। মানবতা, বিবেকের দায় তাদের নেই। যারা এ হামলাকারী ও হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষক, তাদেরও তা নেই। তারা শুধু দেখে নিজেদের স্বার্থ, আর দুরভিসন্ধি পোষণ করে চিরকাল ক্ষমতায় থাকার।
আস্তে আস্তে পরম যত্মে মেয়ের চুলে বিলি কাটি, ঘাড়ে হাত বুলিয়ে দেই। না, সে জেগে ওঠে না। পরম নিশ্চিন্তে ঘুমায়। বোধ হয় বুঝেছে যে সে নিরাপদ। আসলেও তো তাই। শিশুরা মায়ের কোলেই তো সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। মায়ের চেয়ে বড় আশ্রয় শিশুর আর কে? কিন্তু সে মায়ের নিজেরই যদি নিরাপত্তা না থাকে? তখন?
বাড়ির বাইরে কারা যেন এসেছে। তারা যদি সরকার পক্ষের হয় তাহলে আমাকে গণ্য করবে বিদ্রোহীদের সমর্থক হিসেবে। তারা মনে করে, বিদ্রোহী সমর্থকদের একমাত্র প্রাপ্য হচ্ছে মৃত্যু- সে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধা যেই হোক না কেন। তারা যদি বিদ্রোহী হয় আর আমাকে যদি সরকার পক্ষের সমর্থক মনে করে সেক্ষেত্রেও শাস্তি একই। অন্যদিকে তারা যদি ইসলামী গ্রুপের লোক হয় তাদের শাস্তিও কঠিন। তারা মনে করে, যারা শারিয়া অনুসরণ করে না, করতে চায় না- তারা মুসলমান নয়। তাদের হত্যা করা জায়েয। অথচ ইসলাম উদারপন্থী ধর্ম, উগ্রপন্থাকে উৎসাহিত করে না।
আবার কড়া নাড়ার শব্দ হয়। এবার আরো জোরে। সে সাথে ক্রুদ্ধ কন্ঠের গর্জন শোনা যায়- ‘দরজা ভেঙ্গে ফেল।’ পরমুহূর্তেই দরজায় আঘাতের জোর আওয়াজ শোনা যায়। এরা কারা জানি না। তবে সরকারী সৈন্য নয় বলে মনে হচ্ছে। যারাই হোক, ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফেলা তাদের জন্য কঠিন কোনো ব্যাপার হবে না। এখনি দরজা ভেঙ্গে পড়বে। তারপরই অনিবার্য মৃত্যু। আচ্ছা, আমি তো একজন নারী, আর তুবা ছোট্ট একটি মেয়ে। আমাদের কী অপরাধ? আমাদের হত্যা করে কী লাভ হবে ওদের? জানি না। ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়েছি সব কিছু।
ঘরের দরজায় শেষবারের মত প্রচন্ড আঘাতের শব্দ হলো। ভেঙ্গে পড়েছে দরজা। ঘরে ঢুকে পড়েছে ওরা। আর সময় নেই। মেয়েকে কোলে তুলে নিলাম। এখন শুধু মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা।
..............................................................................................
*দেশে গৃহযুদ্ধের প্রথম তিন বছরের পটভূমিতে সিরিয়ার লেখিকা সারা আলামালিয়া আরবি ভাষায় এ গল্পটি লিখেছেন। এতে সিরিয়ার ভয়াবহ পরিস্থিতি ও জনজীবনের নিরাপত্তাহীনতার দিকটি ফুটে উঠেছে। এ গল্পটি ‘অ্যান অ্যাঞ্জেল ফর গুড’ নামে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন রিটা টাপিয়া ওরেগুই। বাংলা অনুবাদে গল্পটির মূল কাঠামোর খানিকটা পরিবর্তন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।