পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্রীষ্ম ঋতু না আসতে চৈত্রেই ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা হয়ে উঠেছে অসহনীয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে জনদুর্ভোগ। বিদ্যুৎ বিভাগের মতে এখন লোডশেডিং নেই। অথচ ঘন ঘন থমকে যাচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা।
চট্টগ্রাম মহানগরীর ঘন বসতিপূর্ণ অনেক এলাকায় দিনে-রাতে দীর্ঘ সময়ই বিদ্যুৎ থাকছে না। কিংবা চলছে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার লুকোচুরি। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও নাজুক। মহানগরী ও জেলা চট্টগ্রামের অধিকাংশ স্থানে যখন-তখন বিকল হয়ে যাচ্ছে ট্রান্সফরমার ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। এতে করে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিগড়ে যাচ্ছে। বিদ্যুতের অনিশ্চয়তায় আসন্ন এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। তীব্র গরমে বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষজনের কষ্ট সীমাহীন। মসজিদে মুসল্লীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ বৃদ্ধির সাথে সাথেই যেন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ভেলকিবাজি বেড়ে চলেছে। বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত বন্দরনগরীতে শিল্প, কল-কারখানায় উৎপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাদশা তৈরি হয়েছে।
বিদ্যুতের বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক কাঠামোর দায়সারা গোছের জোড়াতালি মেরামতেও আর কাজ হচ্ছে না। চট্টগ্রামে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ট্রান্সফরমার, সিটি, ব্রেকার, সঞ্চালন লাইনসহ হরেক যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা হঠাৎ যখন তখন বিগড়ে যাচ্ছে। এসব যন্ত্রপাতি বিগড়ে গেলে যখন সহজে মেরামত করা হয় না, তখন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী গ্রাহকরা নিজেরা চাঁদা তুলে ‘মেরামতের ব্যবস্থা’ করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীর হাতে মোটা অংকের টাকা গছিয়ে দেন। এভাবে ‘মেরামত বাণিজ্য’ চলছে নগরীর চকবাজার, বাকলিয়া, শোলকবহর, ষোলশহর, পাথরঘাটা, হালিশহর, আগ্রাবাদ, পাহাড়তলী, অক্সিজেন বায়জিদসহ বিভিন্ন এলাকায়।
৬০ লাখ জনসংখ্যার ১২০ বর্গমাইল আয়তনের এই মহানগরীজুড়ে বিদ্যুতের ঘোষিত লোডশেডিং না থাকলেও বিভ্রাটের কারণেই জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ট্রান্সফরমার, সিটি, ব্রেকার অথবা সঞ্চালন লাইনসহ হরেক ধরনের যন্ত্রপাতি হঠাৎ বিগড়ে যাওয়ার ফলেই এমনটি ঘটছে। এ কারণে একেকটি এলাকায় একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে ফের আসতে সময় লাগে এক ঘণ্টা থেকে ক্ষেত্রবিশেষে ৪ থেকে ৬ ঘন্টা। তাও সচল থাকছে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। ফের বিভ্রাট। এমনকি মধ্যরাতেও দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি চট্টগ্রামে ব্যবসা-বাণিজ্যে পড়েছে বিরূপ প্রভাব। রফতানিমুখী তৈরিপোশাক শিল্প, হিমায়িত খাদ্য প্ল্যান্ট ও বিভিন্ন কল-কারখানায় উৎপাদনের চাকা থমকে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ত্যক্ত-বিরক্ত। নগরীর অনেক মার্কেট, বেসরকারি অফিস পাড়া, ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা-বাণিজ্যকেন্দ্র, বাসাবাড়িতে জেনারেটরের বিকট আওয়াজ শোনা যায় দিনে-রাতে। সামনে পবিত্র রমজান মাসে ভরা গরমের মৌসুমে বিদ্যুতের সমস্যার কী অবস্থা দাঁড়াবে তা নিয়ে উদ্বীগ্ন চট্টগ্রামবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।