বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁদপুর সদর উপজেলার ঢালীরঘাট ও রঘুনাথপুর এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে স্থানীয় বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বর্ষার আগে ঐ এলাকায় ভাঙনরোধে পদক্ষেপ নেওয়া না হলে নদীতে বিলীন হতে পারে বিশাল জনপদ। এতে ভিটেমাটি হারানোর শঙ্কায় দিন কাটছে স্থানীয় জনগণের।
স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম মুন্সি ও ফারুক জানান, ঢালীরঘাট এলাকায় মুদি দোকান, বালি-পাথর বিক্রয় কেন্দ্রসহ প্রায় ৪০-৫০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু পানির স্রোত ও নদীতে চলাচলকারী জাহাজ ও নৌকার ঢেউয়ের আঘাতে প্রতিনিয়তই ভাঙছে ডাকাতিয়া নদীরপাড়। ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে নদীপাড়ের ভাঙনের জায়গায় প্রায় ৩ হাজার বালির বস্তাসহ অস্থায়ীভাবে বাঁধ দিয়েছেন। কিন্তু বর্ষার মৌসুমে পানি বাড়লে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে। তাই এখনই সংশ্লিষ্টদের নদী ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থান নেওয়া প্রয়োজন বলে স্থানীয়রা মনে করেন। নয়তো বর্ষার মৌসুমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আফসানা আক্তার ও আবির মাহমুদ জানান, এ অঞ্চলে পাটোয়ারী বাড়ি, গাজী বাড়ি, বেপারী বাড়িতে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের ২ সহস্রাধিক মানুষের বসবাস। কিন্তু নদী ভাঙনের ফলে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, ঢালীরঘাট ও ঢালীরঘাট সংলগ্ন রঘনাথপুর এলাকায় ডাকাতিয়া ভাঙনের খবর পেয়েছি। ভাঙনরোধে বরাদ্দ চেয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, যদি এখন বরাদ্দ না পাওয়া যায়, আর বর্ষায় ভাঙণের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়, তবে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।