মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত ১৮ মে মিজোরাম রাজ্য বিধানসভা রাজ্যের সব বাড়ির একটি নিবন্ধন তৈরি করার প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করেছে। মিজোরাম মেইনটেন্যান্স অব হাউসহোল্ড রেজিস্টার্স বিল, ২০১৯ প্রবর্তনের সময় মুখ্যমন্ত্রী জরামথাঙ্গা বলেন, ছিদ্রযুক্ত সীমান্ত দিয়ে বিদেশীরা অব্যাহতভাবে মিজোরামে প্রবেশ করতে থাকায় বিলটি আনা হয়েছে। তিনি বলেন, অনেক সময়ই দেখা গেছে যে উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলো এসব বিদেশী খেয়ে ফেলেছে। রাজ্যের তথ্য ও গণসংযোগ বিষয়ক মন্ত্রী লালরুথিমা স্ক্রল.ইনকে বলেন, সবচেয়ে বেশি হুমকি আসছে বাঙালি মুসলিম ও বৌদ্ধ চাকমাদের কাছ থেকে। উল্লেখ্য, রাজ্যটির ৮৭ ভাগের বেশি লোক খ্রিস্টান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটি হবে আসামে চলমান জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনের (এনআরসি) মতো। ক্ষমতাসীন মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট গত ডিসেম্বরে রাজ্যের নির্বাচনের সময় এমন নিবন্ধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আসামের নাগরিক নিবন্ধন অবৈধ বিদেশীদের শনাক্ত করে বহিষ্কার করার জন্য প্রণীত হয়েছিল। এর কাজ এখনো চলছে। ভারতে নাগরিকত্ব নির্ধারিত হয় ১৯৫৫ সালের বিলের আলোকে। মিজোরামে বাড়ি শুমারিতে প্রতিটি বাড়ির লোকজন, তাদের নাগরিকত্ব ইত্যাদি তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। প্রাপ্ত তথ্য একাধিক পর্যায়ে যাচাই করা হবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। মিজোরামে খ্রিস্টানদের তিনটি গোত্র প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। এই তিন গোত্রের প্রতিনিধিত্বকারী তিনটি এনজিও হচ্ছে ইয়ং মিজো এসোসিয়েশন, ইয়ং লাই এসোসিয়েশন, মারা থুইতলিয়া পি। সরকার এনজিও হিসেবে তাদেরকে সমর্থন করছে। শুমারির কাজ এসব সংগঠনই পরিচালনা করতে পারে। এসব সংগঠন দাবি করছে, আশপাশের রাজ্যগুলো থেকে অমিজোরা প্রবেশ করে রাজ্যে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে চাকমাদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। এসব চাকমা রাজ্যটির দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে বাস করে। মিজো গ্রুপগুলো তাদেরকে অনুপ্রবেশকারী মনে করে। বেশির ভাগ চাকমা কয়েক শ’ বছর ধরে বাস করছে। তবে কিছু কিছু চাকমা ১৯৬০-এর দশকে পার্বত্য চট্টগ্রামের কাপ্তাই ড্যামের কারণে বাড়িঘর ডুবে যাওয়ার পর সেখানে যায়। তাছাড়া ধর্মীয় নির্যাতনের কারণেও অনেকে সেখানে গিয়েছিল। মিজোরামে চাকমাবিরোধী আন্দোলনের সবচেয়ে সক্রিয় ইয়ং মিজো এসোসিয়েশন। তারা বলছে, বিলটি উত্থাপন হচ্ছে, তাদের একটি দাবি বাস্তবায়ন। সংগঠনটি বলে আসছে, চাকমারাই হচ্ছে প্রধান হুমকি। এরা আসলে মিয়ানমারের নাগরিক। জাতিসঙ্ঘের ২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, মিজোরামে মিয়ানমারের প্রায় ১০ হাজার চিন উদ্বাস্তু বাস করে। এদিকে বিলটি উত্থাপনের ফলে চাকমাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাকমা অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, বিলটিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এর লক্ষ্য হলো বিদেশীদের চিহ্নিত করা। আর তাদের দৃষ্টিতে চাকমারা হলো বিদেশী। ফলে আমরা টার্গেট হচ্ছি, এ জন্য আমরা উদ্বিগ্ন। রাজ্য বিধানসভায় চাকমা প্রতিনিধি বি ডি চাকমাও এর সাথে একমত। তিনি বলেন, বিলটি রাজ্যের সংখ্যালঘুদের জন্য খুবই বিপজ্জনক, বিশেষ করে চাকমা ও ব্রুদের জন্য। তিনি আশঙ্কা করছেন যে রাজ্য সরকার চাকমাদের রাজ্য ত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারে। তিনি বলেন, ছাত্র গ্রুপগুলোর দাবির মুখে সরকার হাজার হাজার চাকমা ভোটারের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। এটা চাকমাদের হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।