রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পীরগঞ্জ (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
পীরগঞ্জ উপজেলার প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে অসহায়ের পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ওই জমি দখলকে কেন্দ্র করে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। অন্যদিকে অসহায় পরিবারের জমি উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রংপুর পীরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সম্পাদক, প্রভাবশালী আব্দুল মান্নান বাচ্চু ম-ল উপজেলার আলে ম-লের দৌহিত্র আমজাদ হোসেন গং পীরগঞ্জ থানা সংলগ্ন ২৩ শতক জমি অবৈধভাবে সরকারের খাস খতিয়ান দেখিয়ে ছোট সহোদরের নামে লিজ গ্রহণ করে। ওই লিজের কাগজ দিয়ে বাচ্চু ম-ল জমিটি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছে। এদিকে অসহায় পরিবারটির পক্ষে আমজাদ হোসেন জমি উদ্ধারের জন্য রংপুরের জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগে জানা গেছে, আমজাদ হোসেন গংরা পীরগঞ্জ মৌজার ৯৫নং সিএস খতিয়ানভুক্ত ১৮১ দাগে ২৩ শতক জমির পৈতৃক সূত্রে মালিকানাপ্রাপ্ত হয়। এসএ রেকর্ড চলাকালীন তার দাদা প্রয়াত আলে মামুদ ম-ল সে সময়ে দুরারোগ্য বসন্ত ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। যে কারণে ঐ সময়ে সেটেলমেন্ট কর্মচারীর সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় জমিটি তার নামে রেকর্ড হয়নি। মওকা বুঝে স্থানীয় সুচতুর আব্দুল মান্নান বাচ্চু ম-ল তৎকালীন সি.ও (রাজস্ব) এর সাথে যোগসাজোশ করে জমিটি অবৈধভাবে সরকারের নামে খাস খতিয়ানভুক্ত করে তার ছোট ভাই আব্দুল ওহাব ম-লকে ভূমিহীন কৃষক দেখিয়ে ১৫ বছরের জন্য সেটেলমেন্ট লিজ গ্রহণ করেন। তারপর থেকে ঐ প্রভাবশালী নেতা অবৈধভাবে জমিটি ভোগদখল করে আসছে। আমজাদ হোসেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বয়োঃবৃদ্ধ সরকারি কর্মচারী। তার এবং তার ওয়ারিশগণের পক্ষে প্রতাবশালী ক্ষমতাধর বাচ্চু ম-লের বাহিনীর সাথে পেরে ওঠা দুরূহ ব্যাপার। যে কারণে ঐ জমিটি উদ্ধারের জন্য আমজাদ হোসেন রংপুরের জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এদিকে জমিটি যে খাস নয় সে ব্যাপারে আমজাদ হোসেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দরখাস্ত দাখিল করেন। এ দরখাস্ত মূলে তদন্তের ভার তৎকালীন উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার মোস্তাইন বিল্লাহের উপর ন্যস্ত হয়। তিনি তদন্ত শেষে তার রিপোর্টে উল্লেখ করেন, ঐ জমিটি সরকারি খাস/অর্পিত/পরিত্যাক্ত/লাওয়ারিশ সম্পত্তি নহে। এদিকে লিজ গ্রহীতা বাচ্চু ম-লের ছোটো ভাই প্রয়াত আব্দুল ওহাব ম-ল একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ছিলেন। তার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগনও ভূমিহীন নন। বর্তমানে পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে পাকা দ্বিতল ভবন ছাড়াও একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এব্যাপারে জমির মূল মালিক আমজাদ হোসেন জানান, বাচ্চু ম-ল বাইসাইকেলের মেকার থেকে বিএনপির সম্পাদক থাকাকালীন গোটা উপজেলার প্রশাসনকে কব্জাভুক্ত করে অন্যের সম্পদ লুটপাট ও অবৈধ দখল করে শূন্য থেকে কোটিপতি বনে গেছেন। তার বিশাল বাহিনী রয়েছে। ঐ বাহিনীর ভয়ে তার বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না। বিষয়টি নিয়ে বাচ্চু ম-লের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঐ জমিটি আমার ভাই লিজ গ্রহণ করে। পরে তার সাথে আমার রেওয়াজ বদল দলিল হয়েছে। সে কারণে আমি ঐ জমিটি ভোগদখল করে আসছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।