রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি চিনা বাদাম ৮ প্রথম পরীক্ষামূলক চাষাবাদে প্রতি হেক্টরে ২ থেকে আড়ই মে. টন উৎপাদিত হয়েছে। এ জেলায় এ বাদামের উপযোগিতা যাচাইয়ে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট। গত ৩৫ বছর ধরে গোপালগঞ্জের কৃষক ঢাকা ১ জাতের বাদামের চাষাবাদ করে আসছিলো। এ বাদামে রোগ বালই ও পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে। ফলে বাদামের উৎপাদন কমে যাওয়ায় কৃষক বাদাম চাষে লাভের মুখ দেখ ছিলেন না। কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট (পিজিবি) সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প গোপালগঞ্জের কৃষকের হাতে এ বছই প্রথম বারি চিনা বাদাম ৮ তুলে দেয়। এ চিনা বাদামের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি ফুঁটিয়েছে। পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট (পিজিবি) সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প জানিয়েছে, এ বছর গোপালগঞ্জ জেলায় ৫০ বিঘা জমিতে বারি চিনা বাদাম ৮ এর প্রদর্শনী প্লট করা হয়। প্রতিটি প্লটেই বাদামের বাম্পর ফলন হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কংশুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, আগে ঢাকা ১ জাতের বাদাম আবাদ করতাম। এ বাদামে ফলন কমে গেছে। তাই এ বাদাম চাষাবাদে লাভ হয় না। আমরা নতুন জাতের বাদাম খুঁজছিলাম। পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট (পিজিবি) সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প আমার হাতে বারি বাদাম ৮ তুলে দেয়। আমি এ বছর প্রথম ৩ হেক্টর জমিতে বারি ৮ বাদাম চাষাবাদ করেছি। এ বাদাম চাষে ৬৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মাঠে বাদাম বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি বাদাম বিক্রি করে অন্তত ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পাব। এতে ৫৫ হাজার টাকা লাভ হবে। আমার দেখাদেখি এ গ্রামের অন্যান্য কৃষকও এ জাতের বাদাম আবাদের আগ্রহ দেখাচ্ছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কংশুর গ্রামের কৃষক বিজন বিশ্বাস ও গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ঢাকা ১ জাতের বাদাম প্রতিটি গাছের গোড়ায় ১০/১৫টি ফলে। কিন্তু রাবি ৮ জাতের বাদাম সেখানে ২০/২৫টি ফলেছে। এ বাদামের সাইজও বড়। এ বাদাম চাষ করে আমরা লাভের মুখ দেখছি। এ বাদাম থেকে আমরা বীজ সংগ্রহ করেছি। আগামী বছর এ বীজ দিয়েই আমরা বাদাম চাষ করতে পারবো। পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট (পিজিবি) সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচএম খায়রুল বাসার বলেন, ঢাকা ১ জাতের বাদাম ১৯৭৮ সালে রারি উদ্ভাবন করে। বর্তমানে এ বাদামে রোগ বালাই ও পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে। হেক্টরে এ বাদাম ১ থেকে দেড় টন উৎপাদিত হওয়ার কথা। কিন্তু বিভিন্ন করণে এ বাদামের ফলন কমে যাচ্ছে। বাদামের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বারি ৮ জাতের বাদাম উদ্ভাবন করেছে। এ বছই প্রথম আমরা কৃষকের হতে এ বাদাম তুলে দেই। এ জাতের বাদাম গোপালগঞ্জে আবাদ করে কৃষক ২ থেকে আড়াই টন ফলন পেয়েছে। এ বাদামের চাষ সম্প্রসারিত করা হলে তেলের আমদানি নির্ভরতা কমবে। কৃষক অধিক বাদাম উৎপাদন করে লাভবান হবে। তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ডিডি সমীর কুমার গোস্বামী বলেন, গোপালগঞ্জে প্রথম বছর আবাদেই বারি উদ্ভাবিত চিনা বাদাম ৮ এর ফলন ২ থেকে আড়াই টন হয়েছে। গোপালগঞ্জে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ হয়। এসব জমিতে এ জাতের বাদামের চাষ সম্প্রসারিত করতে পারলে গোপালগঞ্জের কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। বাড়বে উৎপাদন ও কৃষির উন্নতি ঘটবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।