পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা বাসের কারণে ঘটছে বলে তথ্য উঠে এসেছে বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) এক গবেষণায়। ঢাকায় সাম্প্রতিক আলোচিত সড়ক দুর্ঘটনাগুলোর সবকটিতেই বাসের বেপরোয়া চালনাকে দায়ী করা করেছে এআরআই। সর্ব শেষ গত মঙ্গলবার রাজধানীর নর্দ্দা এলাকায় বাস চাপায় বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হওয়ায় বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে।
বুয়েটের এআরআই’র গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৬৬টি দুর্ঘটনায় ৬৯৯ জন নিহত এবং এক হাজার ২২৭ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৫৪টি দুর্ঘটনাই বাসের কারণে ঘটেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এসময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৩০টি। এছাড়া ১১৩টি ট্রাক, ৭৩টি পিকআপ এবং ৫৬টি ব্যক্তিগত গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। এআরআই বলছে, ওই সময়ে রাজধানীতে দুর্ঘটনা, আহত ও নিহতের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল। আর এ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ছিল বাসের কারণে দুর্ঘটনা।
প্রতিবেদন মতে, ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ১২৩টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩৭ জন, আহত হয়েছেন ৩৩৭ জন। ২০১৭ সালে ঢাকায় ২৬৩টি দুর্ঘটনা ঘটার তথ্য দিচ্ছে এআরই। তাতে ২৭৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৩৫৮ জন আহত হয়। ওই বছর ১৪৫টি দুর্ঘটনায় বাসের সম্পৃক্ততা ছিল। ২০১৮ সালে ঢাকায় ২৮০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৬ জন নিহত হয়। আহত হয়েছিল ৫৩২ জন। সে বছর ১৩৪টি দুর্ঘটনার কারণ বাস।
বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্ঘটনার সংবাদ পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলার কারণেই বেশিরভাগ দুর্ঘটনায় বাস জড়িয়ে যাচ্ছে। এসব যানের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল এসব দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে বাস চলাচলের সিস্টেমটা একটু বিশৃঙ্খল। বাসের চালকরা অনিয়ন্ত্রিত, বেপরোয়া চলাচল করে বেশি। গাড়ি চালানোর সময় তাদের মধ্যে যাত্রীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ আচরণগুলো বেশি প্রকাশ পায়। এছাড়া ঢাকায় দুর্ঘটনার কারণের মধ্যে বাসের পরই ট্রাক ও মোটরসাইকেলের অবস্থান রয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য অদক্ষ চালকদের মধ্যে যাত্রী নেওয়ার প্রতিযোগিতাকে দায়ী করেছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। তিনি বলেন, নগরীতে একই রুটে বিভিন্ন কোম্পানির বাস চলায় অধিক আয়ের আশায় এ প্রতিযোগিতা চলে। যে কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। তার মতে, দৈনিক চুক্তির পরিবর্তে মাসিক বেতন ভিত্তিতে গাড়ি চালানো হলে এ প্রতিযোগিতা কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার আরেকটি কারণ হলো চালকদের অদক্ষতা। তার মতে, ঢাকা শহরে বেশিরভাগ চালকই পাকা লাইসেন্সধারী না। অধিকাংশই অনভিজ্ঞ। এসব চালকরা লেগুনা, পিকআপসহ হালকা যানবাহনে চালিয়ে বাস চালানো শুরু করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।