পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় হেসে ওঠা সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটিতে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় সাংবাদিকদের সামনে নিষ্ঠুরভাবে হেসেছিলেন শাজাহান খান। অথচ সেই লোকটাকে প্রধান করেই সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেশের মানুষের সাথে এটি এক ধরণের প্রতারণা। যে লোকটি পরিবহন সেক্টরকে জিম্মি করে রেখেছেন অথচ তাকেই দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটিতে রেখে জনগণের সাথে তামাশা করা হচ্ছে। গতকাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ক্ষোভের সাথে এ কথাগুলো বলেন।
বসুন্ধারা এলাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতিমা তাইয়েবা বলেন, বাংলাদেশে নাগরিকদের কোন দাম নেই। এখানে সরকার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও জনগণের সাথে তামাশা করে। এই শিক্ষার্থী প্রশ্ন করে বলেন, শাজাহান খানের মতো একজন ব্যার্থ লোকের নেতৃত্বে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করা জনগণের সাথে প্রতারণা নয় কি?
ইনডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ বলেন, গত বছর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন থামিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু এক বছরেও কোন আশ্বাস বাস্তবায়ন করা হয়নি। অথচ সেই সময়ে হঠকারী নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটিতে রেখে আন্দোলনকারীদের সাথে তামাশা করা হয়েছে। তাই এবার আর কারো প্রতারণায় পা বাড়ানো যাবে না।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে পুরো দেশ যখন উত্তাল তখন তৎকালীন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহাজান খান হাসতে হাসতে দোষীদের শাস্তির কথা বলেন। দায়িত্বশীল একজন মন্ত্রীর এমন আচরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার তৈরি হয়। এ ঘটনায় মন্ত্রী ক্ষমাও চেয়েছেন। কিন্তু তারপরেও জনগণের মুখে মুখে সে হাসির সমালোচনা ছিল।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ এবছর নতুন করে সরকার গঠন করলে শাজাহান খানকে মন্ত্রীত্ব না দিলেও তাকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে কমিটি ঘোষণার পর পরই তুমুল সমালোচনা শুরু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।