বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাকসু নির্বাচনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। গতকাল (বুধবার) হল প্রভোষ্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডির সাথে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, এ আলোচনা সভায় হলগুলোর প্রভোষ্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডির সবাই চাকসু নির্বাচনের পক্ষে মত দেন। নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে শীঘ্রই একটি ছোট কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি চাকসু নির্বাচনের নীতিমালা পর্যলোচনা করে হালনাগাদ করে একটি প্রতিবেদন দিবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আবার একটি আলোচনা হবে এছাড়া আরো যদি কোন সিদ্ধান্ত থাকে তা নিয়ে একটি চ’ড়ান্ত প্রতিবেদন সিন্ডিকেটে পাঠানো হবে। সিন্ডিকেট এটির অনুমোদন দিলে ছাত্র সংগঠন গুলোর সাথে কথা বলা হবে। এছাড়া প্রশাসনের সাথে কথা বলা হবে। যাতে একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়।
এ বিষয়ে আলাওল হলের প্রভোষ্ট প্রফেসর আব্দুল হক দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, চাকসু নির্বাচনের বিষয়ে ভিসি স্যার আমাদের মতা মত জানতে চেয়েছিলেন আমরা সর্বসম্মতিক্রমে চাকসু নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছি। আসলে এ বিষয়ে আমরা বেশ আগে থেকেই কাজ শুরু করেছি। যেমন হলগুলোতে আবাসিক অনাবাসিক ছাত্রদের তালিকা হালনাগাদ শুরু করেছি।
এ বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, চাকসু নির্বাচন দেওয়ার ব্যাপারে আমারা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আমাদের নীতিমালাগুলো অনেক পুরানো, তাই এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের জন্য বৃহস্পতিবার একটি কমিটি গঠন করা হবে। নীতিমালা হওয়ার পরে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন হয় ২৯ বছর আগে। ১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনের সময় দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। নির্বাচনের ১০ মাস পর এরশাদের পতন হয়। এর পরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে কয়েক দফায় ক্ষমতার পালাবদল ঘটলেও কেউ চাকসু নির্বাচন নিয়ে ভাবেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।