পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোরে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষণা বাস্তবায়নে জোরদার পদক্ষেপ নেই। বাস্তবায়ন হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর যশোর দেশের তৃতীয় বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে যশোরে সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন যশোরের মাটি উর্বর। এখানে খেজুরের গুড়, মাছের রেণু পোনা, সবজি, তুলা ও ফুল উৎপাদনের রেকর্ড রয়েছে। রয়েছে কৃষি ও শিল্পের সম্ভাবনা। শুধু ঘোষণা নয়, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
সে মোতাবেক অবশেষে গত বছর যশোরে আসেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান। প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে যশোর সদর ও ঝিকরগাছা উপজেলায় দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সম্ভাবনার কথা সাংবাদিকদের জানানো হয়। কিন্তু পরবর্তীতে কার্যক্রম আর জোরদার হয়নি। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলেছে, যশোর ইকোনমিক জোনের ব্যাপারে ন্যূনতম কোন অগ্রগতি নেই।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাগ্রো প্রোডাক্ট এন্ড প্রসেসিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, যশোর অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন হলে শুধু যশোর জেলায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে না। গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে।
তার কথা, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বিদেশে রফতানি হলে সমৃদ্ধ হবে বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডার। কৃষকরা ‘পোস্ট হার্বেডস লস’ এর হাত থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাবেন। কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এক্ষেত্রে যশোরে রয়েছে সার্বিক সুযোগ সুবিধা। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গবেষণা করে সম্ভাবনাগুলোকে প্রকৃতভাবে কাজে লাগাতে পারবেন খুব সহজেই। সূত্রমতে, আন্তর্জাতিক চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কৃষি ও শিল্পপণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া জোরদার হবে।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান খান জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে যশোরে নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপন হবে। এতে মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে। দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর রয়েছে যশোরের বেনাপোলে। শুধু বেনাপোল নয়, এ অঞ্চলে বৃহত্তম দ্বিতীয় নৌ বন্দর মংলা এবং দর্শনা ও ভোমরা স্থলবন্দর রয়েছে। রয়েছে নদীপথে দেশী ও বিদেশী পণ্যের অভ্যন্তরীণ রফতানিতে যশোরের নওয়াপড়ায় অন্যতম বৃহত্তম নদীবন্দর।
রজনীগন্ধা, সবজি, মাছের রেণু পোনা এবং পাটজাত ও হস্তশিল্প পণ্যসহ কৃষি পণ্য অভ্যন্তরীণ রফতানিতে বিরাট সাফল্য আসলেও বিদেশের বাজারে প্রবেশের সুযোগকে কাজে লাগানো যায়নি। তিনি বলেন, জরুরী ভিত্তিতে দরকার যশোরে কন্টেইনার টার্মিনাল স্থাপন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।