বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগমারা উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর বাগমারায় আ’লীগ নেতাকে বোমা মেরে হত্যাচেষ্টার মামলা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ওই মামলা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মামলা থেকে বাঁচার জন্য বোমা মেরে হত্যার মামলা সাজানো হয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণের দৃশ্যমান কোনো আলামত পায়নি। বাগমারায় আ’লীগ নেতাকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা কাগজে-কলমে আছে কিন্তু বাস্তবে কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসলাম আলী আসকান ও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলহাজ আকবর আলীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে গত ১৫ মে আসলাম আলী আসকানের সমর্থিত ক্যাডার বাহিনী উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ গোডাউন মোড় এলাকায় আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলহাজ আকবর আলীর মোটরসাইকেল গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এসময় তার পুত্র শাহজাহান আলী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাকেও মারধর করে মারাত্মক জখম করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
এ ঘটনায় ওই দিন ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আলহাজ আকবর আলী বাগমারা থানায় একটি মামলা করেন। ওই ঘটনার দিনই রাত ৮টার দিকে মাড়িয়া ইউনিয়নের শিকদারী বাজারে আ’লীগ নেতা সংসদ সদস্যের ভাই ফরহাদ হোসেন মজনুর দোকানের সামনে পাকা রাস্তায় একটি ককটেলজাতীয় বিস্ফোরণের শব্দ হয়। তবে তা বোমা, ককটেল বা পটকা কি না তা এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তখন আসলাম আলী আসকান ফরহাদ হোসেন মজনুর দোকানে অবস্থান করছিলেন বলে দাবি করেন। ওই ঘটনায় আসলাম আলী বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে আসলাম আলী আসকান দাবি করেন তাকে মেরে ফেলার জন্যই সেদিন বোমা মারা হয়েছিল, যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। তবে এলাকাবাসী জানান, সেদিন বোমা হামলার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে পটকা ফোটার মতো শব্দ শোনা গেছে। এ ঘটনাকে ইস্যু করে ১৪ জনকে আসামি করে আসলাম আলী আসকান বাদি হয়ে ঘটনার তিন দিন পর গতকাল (বুধবার) বাগমারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ ঘটনাটি ঘটে ১৫ মে অথচ মামলা হয় ১৮ মে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।