ঘরের মাঠে রোববার রাতে লিগ ওয়ানে ১০ জনের মার্সেইকে ৩-১ গোলে হারায় টমাস টুখেলের দল। অক্টোবরে লিগের প্রথম পর্বে দলটির মাঠে ২-০ গোলে জিতেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিলের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেই ২০ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে টমাস টুখেলের দল।
প্রথমার্ধে পিএসজির পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না। ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটে প্রথম আক্রমণেই জালে বল পাঠিয়েছিলেন ডি মারিয়া। তবে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে বাঁ- দিকে পাস দেন ডি মারিয়া। আর ছুটে গিয়ে প্রথম ছোঁয়ায় কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান এমবাপে।
লিগে টানা ছয় ম্যাচে জালের দেখা পেলেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। চলতি আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার এটা ২৬তম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই সমতা ফেরায় মার্সেই। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার লুকাস ওসকাম্পোসের পাস পেয়ে প্লেসিং শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ভালেহে।
অতিথিদের সমতায় ফেরার স্বস্তি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৫৫তম মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে জোরালো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে পিএসজিকে আবারও এগিয়ে দেন দি মারিয়া।
দ্বিতীয় গোল হজমের ছয় মিনিট পর আরেকটি বড় ধাক্কা খায় অতিথিরা। প্রতি-আক্রমণে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ছুটে গিয়ে শট নেন দি মারিয়া। তাকে রুখতে গিয়ে ডি-বক্সে বাইরে এসে হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে লাল কার্ড দেখেন ফরাসি গোলরক্ষক স্তিভ মাদাঁদাঁ।
আর ওই ফ্রি-কিকেই দুর্দান্ত এক শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ব্যবধান বাড়ান দি মারিয়া। আসরে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের এটা অষ্টম গোল। একই সঙ্গে আসরে সর্বোচ্চ ১০টি গোল করিয়েছেন তিনি।
যোগ করা সময়ে দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে পড়া এমবাপে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় পিএসজি। তবে নিজেই স্পট কিক নিয়ে ব্যবধান বাড়ানো সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ঝাঁপিয়ে রুখে দেন মার্সেইয়ের বদলি গোলরক্ষক।
২৮ ম্যাচে ২৫ জয় ও দুই ড্রয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করা পিএসজির পয়েন্ট ৭৭। ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এক ম্যাচ বেশি খেলা লিল।
তৃতীয় স্থানে থাকা লিওঁর পয়েন্ট ৫৩। আর ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে মার্সেই।