Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

উত্তরপ্রদেশে জোটের জন্য ৭ আসন ছাড়ল কংগ্রেস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

দুইয়ের বদলে সাত। বহুজন সমাজ পার্টি ও সমাজবাদী পার্টি কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে রেখেছিল দু’টি আসন। তার পাল্টা সৌজন্য হিসেবে এ বার উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ-মায়াবতীর জন্য সাতটি আসন ছেড়ে দিল কংগ্রেসও। দলের পক্ষ থেকে রোববারই ঘোষণা করা হল, ওই সাতটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস। অর্থাৎ মোট ৯টি আসনে কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস কিংবা এসপি-বিএসপি জোটের সরাসরি দ্বিমুখী লড়াই হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে।
উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর এ দিন জানিয়েছেন, মইনপুরী-সহ রাজ্যের মোট সাতটি কেন্দ্রে প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস। এই মইনপুরী কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো মুলায়ম সিংহ যাদব। এ ছাড়া রয়েছে কনৌজ আসন, যেখানে প্রার্থী হচ্ছেন মুলায়মের পুত্রবধূ তথা অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল। বাকি কেন্দ্রগুলি অবশ্য এখনও স্পষ্ট করা হয়নি। তবে দলীয় সূত্রে খবর, এই আসনগুলি হতে পারে বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী, রাষ্ট্রীয় লোক দল প্রধান অজিত সিংহ এবং তার ছেলে জয়ন্ত চৌধুরির কেন্দ্র। সে ক্ষেত্রে এই তিন হেভিওয়েট নেতা কোন কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন, সেটা দেখে নিয়ে তার পর বাকি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে কংগ্রেস।
মায়াবতী-অখিলেশ জোট ঘোষণার পর জানিয়েছিলেন, অমেঠি এবং রায়বরেলি বাদ দিয়ে সব আসনে লড়াই করবেন জোটের প্রার্থীরা। অমেঠি থেকে বরাবর জিতে আসছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আর রায়বরেলিতে জেতেন তার মা সোনিয়া গান্ধী। অর্থাৎ জোট এমন আসনগুলিই ছেড়েছে, যেগুলিতে কার্যত নিজের নিজের জয়ের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। এ বার কংগ্রেসও সেই রাস্তাতেই হাঁটল। অর্থাৎ জোটের হেভিওয়েট নেতাদের কেন্দ্রগুলিতেই প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস শিবির। তবু তাদের এই বার্তাকে সদর্থক ভাবেই দেখছে বিএসপি-এসপি জোট। জোটের নেতাদের মনোভাব, তারা যে সৌজন্য দেখিয়েছেন, কংগ্রেসও সেটা দেখানোয় বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
কয়েক মাস আগেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে বিপুল সাফল্য পায় কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে ম্যাজিক ফিগারের থেকে সামান্য দূরে থাকা কংগ্রেসকে সমর্থন করে এসপি এবং বিএসপি দুই দলই। সেই সূত্রেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটেও একজোট হয়ে লড়তে পারে তিন দল। প্রাথমিক ভাবে এ নিয়ে আলোচনাও হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জোট হয়নি। মায়াবতী-অখিলেশের অভিযোগ ছিল, কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছ থেকে তেমন সাড়া না পেয়েই তারা জোট করেছেন। সূত্র: এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ