Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রধানমন্ত্রীকে আগেই ইমেইল করেছিল খুনি ট্যারান্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

রীতিমতো ঘোষণা দিয়েই নিউ জিল্যান্ডের দুই মসজিদে গুলি করে ৫০ মুসল্লিকে হত্যা করে অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট। হামলার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ৭৪ পৃষ্ঠার ইশতেহারও প্রকাশ করে ২৮ বছরের ওই উগ্র মুসলিমবিদ্বেষী অসি নাগরিক। এমনকি নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকেও ওই ইশতেহার ইমেইল করে সে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর প্রধান প্রেস সচিব অ্যান্ড্রো ক্যাম্পবেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হামলার কয়েক মিনিট আগে ওই ইশেতহারসহ একটি মেইল পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। অ্যান্ড্রো ক্যাম্পবেল জানান, একজন কর্মকর্তার অ্যাড্রেসে ইমেইলটি পাঠানো হয়েছিল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়নি। নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও দেশটির স্পিকার এবং অন্যান্য রাজনীতিকদের কাছেও ওই মুসলিমবিদ্বেষী ইশতেহারটি ইমেইল করেছিল খুনি অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট। ১৬ হাজার ৫০০ শব্দের ওই ইশতেহারে নৃশংস এ হামলার পেছনে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে এই অস্ট্রেলীয় নাগরিক। সেখানে মোটা দাগে উঠে আসে মুসলিমবিদ্বেষ, অভিবাসী বিদ্বেষ ও শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদের মতো বিষয়গুলো। মুসলমানদের উসমানীয় খিলাফতের (বর্তমান তুরস্ক) বিরুদ্ধে তৎকালীন ইউরোপীয় খ্রিস্টানদের বিজয়ের কথাও উল্লেখ করেছে সে। কথিত ইশতেহারে নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসের এই নৃশংস খুনি দাবি করেছে, শ্বেতাঙ্গরা গণহত্যার শিকার এবং সে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে চায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘শ্বেতাঙ্গ পরিচয়ের নতুন প্রতীক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে মুসলমানদের জন্য একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরিরও আহ্বান জানিয়েছে সে। আনাদোলু, গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ