মৌসুমের শুরুর দিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের মাঠে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে হোঁচট খেয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এবার সেই দলের কাছে হেরেই এফএ কাপ থেকে ছিটকে গেল প্রতিযোগিতাটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার রাতের কোয়ার্টার-ফাইনালে উলে গুনার সুলশারের দলকে ২-১ গোলে হারায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সপ্তম স্থানে থাকা উলভারহ্যাম্পটন। গত সেপ্টেম্বরে লিগে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রেড ডেভিলদের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল তারা।
ম্যাচের শুরু থেকে অধিকাংশ সময় বল দখলে রাখা ইউনাইটেড আক্রমণে তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। প্রথমার্ধে উল্টো কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করে স্বাগতিকরা। তবে বিরতির আগে গোলের দেখা পায়নি কেউই।
দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় ইউনাইটেড। রাউল হিমেনেসের হেড দারুণ নৈপুণ্যে এক হাত দিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রুখে দেন সের্হিও রোমেরো।
হিমেনেসকে ৭০তম মিনিটে আর আটকাতে পারেননি এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। ডি-বক্সে ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রা বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে ডান পায়ের শটে উলভারহ্যাম্পটনকে এগিয়ে দেন মেক্সিকোর ফরোয়ার্ড।
৭৬তম মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিয়োগো জোতা। সতীর্থের পাস মাঝমাঠে পেয়ে ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে এক জনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো শটে পোস্ট ঘেঁষে বল ঠিকানায় পাঠান পর্তুগিজ এই মিডফিল্ডার।
পাঁচ মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে আট গজ দূর ডান পায়ের শটে ব্যবধান কমান মার্কাস র্যাশফোর্ড। তবে ইউনাইটেডের সমতাসূচক গোল করার মতো যথেষ্ট সময় ছিল না বাকি। সেমি-ফাইনালে ওঠার আনন্দে মাঠ ছাড়ে চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে সবশেষ এফএ কাপ শিরোপা জিতেছে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্স। আর ১৯৯৭-৯৮ আসরে সবশেষ খেলেছিল সেমি-ফাইনালে।
দিনের প্রথম ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ওয়াটফোর্ড। আর সোয়ানসি সিটির মাঠে প্রথমার্ধে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর শেষ দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-২ ব্যবধানের রোমাঞ্চকর জয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠে ম্যানচেস্টার সিটি।
শনিবার রাতের ফল
উলভারহ্যাম্পটন ২-১ ম্যান ইউ
সোয়ানসি সিটি ২-৩ ম্যান সিটি
ক্রিস্টাল প্যালেস ২-১ ওয়াটফোর্ড