পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নোয়াখালীর সোনাপুর জিরো পয়েন্ট-বেগমগঞ্জ-কুমিল্লা টমছম ব্রিজ পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার সড়ক চার লেন উন্নীতকরণের কাজ এগিয়ে চলছে। ২০২১ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে সড়ক বিভাগের সূত্রে জানা যায়।
উক্ত প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লা (টমছম ব্রিজ) নোয়াখালী (বেগমগঞ্জ) আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পে ২১৭০ কোটি টাকা এবং বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে সোনাপুর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ৯৭০ কোটি টাকাসহ সর্বমোট ৩ হাজার ১৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার লাখ লাখ অধিবাসী বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা-লাকসাম-কুমিল্লা সড়ক পথে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে যাতায়াত করে। এ পথে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটির গুরুত্ব ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবার পাশাপাশি যানজট লেগে আছে। এতে করে সময় ও অর্থ দু’টোর অপচয় ঘটছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, আঞ্চলিক মহাসড়কের আওতায় সোনাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে কুমিল্লা টমছম ব্রিজ পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন অংশে ফোর লেন নির্মাণ এগিয়ে চলছে। সোানাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে কুমিল্লা টমছম ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি চার লেনে উন্নীত হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের যাত্রীরাও উপকৃত হবে। বিশেষ করে সোনাপুর-সোনাগাজী-জোরালগঞ্জ সড়কটির নির্মাণ কাজ চলতি বছর শেষ হচ্ছে। এতে করে ঢাকা-চট্টগাম সড়ক পথে কমপক্ষে ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব হ্রাস পাবে।
অপরদিকে সোনাপুর-জোরালগঞ্জ সড়কটি চালু হলে নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের যাত্রীরা স্বল্প সময়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সাথে দ্রুত যোগাযোগ সহজতর হবে। সোনাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে দক্ষিণে রয়েছে দেশের অপার সম্ভাবনাময় উপক‚লীয় সুবর্ণচর উপজেলা ও হাতিয়া উপজেলা। এ অঞ্চলে রয়েছে অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময় বিভিন্ন খাত। ধান, মৎস, তরকারি, ফলমূল, শাকসবজি, রবিশস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত অঞ্চলটি।
এছাড়া মেঘনা নদী গর্ভে প্রতিবছর হাজার হাজার হেক্টর ভূমি জেগে উঠায় এখানে বিশাল আয়তনের চর জাগছে। হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপে পর্যটকদের জন্য রয়েছে প্রকৃতির অপরুপ সমাহার। এছাড়া স্বর্ণদ্বীপ ও ভাসানচর এখন দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও পরিচিতি লাভ করেছে। সোনাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক উন্নয়ন অচিরেই শুরু হবে। এছাড়া হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। এসব কাজ সম্পন্ন হলে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নোয়াখালীবাসীকে আর পেছনে তাকাতে হবেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।