পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্যের তালিকায় শীর্ষে নিঃসন্দেহে শিক্ষাব্যবস্থা। বিগত যেকোনো সময়ের তুলনায় শিক্ষাবিস্তারে অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। শিক্ষার আলোয় এখন আলোকিত পুরো বাংলাদেশ। শিক্ষার এই ব্যাপক অগ্রগতি ও সক্ষমতা অর্জন অর্থনীতির ভিত্তিকেও করেছে মজবুত ও টেকসই, দেশকে বিশ্বের বুকে দিয়েছে এক পৃথক পরিচিতি।’
তিনি বলেন, ‘আমার দাদা দীর্ঘ বছর শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, ১৯২৬ সালে তিনি আসাম ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন প্রায় ১৭ বছর তিনি মন্ত্রিত্ব করেন। ৮ বছর স্পিকার ছিলেন। ইস্ট বেঙ্গল হওয়ার পর ১৯৪৭-৫৪ পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। এজন্যই শিক্ষার সাথে আমার পরিবারের একটি ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান। তৎকালীন সময়ে রাজা জিসি হাই স্কুল অত্যন্ত উচ্চ মানের একটি স্কুল ছিল।’
স্কুলটিকে আরো সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপারে যতটুকু সাহায্য প্রয়োজন আমি করে যাবো। আমি মন্ত্রীর হওয়ার আগেও সিলেটের উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। সুযোগটা হয়েছিলো আমার বড়ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মাধ্যমেই। অনেকগুলো স্কুলে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বিল্ডিং দিয়েছি। রাজা জিসি হাই স্কুলের কথা আমার কাছে বা আমার ভাইয়ের কাছে কেউ বলেননি। সম্প্রতিকালে আমরা শুনলাম রাজা জিসি হাই স্কুলে কোন বিল্ডিং দেওয়া হয়নি। যার কারণে এ স্কুলে ৬ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার রাজা জি.সি হাই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাবেক সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে ও শিক্ষিকা ফৌজিয়া আক্তারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেটের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর এ. কে. এম. গোলাম কিবরিয়া তাপাদার, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিজিৎ চৌধুরী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।
বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মুমিতের স্বাগত বক্তব্যের মাধমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন সহকারি প্রধান শিক্ষক হাছিনা মমতাজ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পাইলট স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক কবির খান, দি এইডেড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি শমশের আলী, মহানগর শিক্ষক সমিতির সভাপতি আহমদ আলী, বর্ণা চক্রবর্তী, গাউসিয়া চৌধুরী, মানিক খান, মাকুদুল আম্বিয়া, শর্মিলা চৌধুরী, শিল্পী রানী সরকার, বুরহান উদ্দিন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।