মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিজেপি নেতা ও ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, আসল পাপী নেহেরুর বারণেই আজ ভারতের সর্বনাশ হয়েছে। অপরদিকে, লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মোটামুটি সব ইস্যুতে শুরু হয়েছে দোষারোপের রাজনীতি। বাদ যাচ্ছে না জঙ্গিবাদ ইস্যুও। সশস্ত্র গোষ্ঠী জশ-ই-মোহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে ঘোষণায় চীনের ভেটো দেয়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে আঙুল তুলেছেন বিরোধী কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘দুর্বল প্রধানমন্ত্রী মোদির দুর্বল নেতৃত্বের কারণেই ভারতের এই কূটনৈতিক বিপর্যয়।’ কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতা ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও। তিনি বলেছেন, ‘আজকের এ কূটনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য সাবেক কংগ্রেস নেতা ও ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু দায়ী। তিনিই আসল পাপী। তার পাপের কারণেই আজ ভারতের এই সর্বনাশ। নেহেরুর সহায়তাতেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে পেরেছিল চীন। তার ফলই এখন ভুগতে হচ্ছে ভারতকে।’ বৃহস্পতিবার এ খবর দিয়েছে দ্য প্রিন্ট ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। মাসুদ আজহারকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও ফ্রান্স। তবে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে এটি নাকচ করে দেয় চীন। এ নিয়ে চারবার ভারতের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিল বেইজিং। এটাকে কূটনৈতিক বিপর্যয় অভিহিত করে দায় মোদির বিজেপি সরকারের উপরেই চাপিয়েছে কংগ্রেস। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির সখ্যের যে ছবি বিভিন্ন সময় তুলে ধরা হয়েছে, তাকেই আক্রমণের অস্ত্র বানিয়েছেন রাহুল। বৃহস্পতিবার এক টুইট করে তিনি বলেন, ‘দুর্বল মোদি জিনপিংকে ভয় পান। চীন ভারতবিরোধী কোনো কাজ করলে মোদির মুখে কোনো টুঁ শব্দ শোনা যায় না। মোদির চীনা কূটনীতি হল, গুজরাটে চীনের সঙ্গে সখ্য, দিল্লিতে কোলাকুলি আর বেইজিংয় গিয়ে মাথা নিচু করে শ্রদ্ধা জানানো।’ রাহুলের সমালোচনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা জবাব দেন অরুণ জেটলি। এদিকে লোকসভা নির্বাচনে নারী ভোটারদের প্রতি বেশি নজর দিচ্ছেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী। নারীদের টার্গেট করেই ইতিমধ্যে প্রচারণা শুরু করেছেন তিনি। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজের প্রথম জনসভার বক্তব্যেও তিনি ‘নারী কার্ড’টাই আগে খেললেন। বক্তব্য শুরু করেন, ‘মেরি বেহেনো অর ভাইয়ো’ (আমার বোন ও ভাইয়েরা) বলে। এতদিন ‘ভাইয়ো অর বেহেনো’ বলেই কথা শুরু করেছেন তিনি। এদিন ভারতীয় সমাজে নারীর বর্তমান নিরাপত্তার অভাব, কর্মসংস্থান সমস্যা ও কৃষিক্ষেত্রে নানা সংকট বিবেচনায় নিতে নারী ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। দ্য প্রিন্ট, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।