Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মসজিদে হামলাকারী ব্লাক সান সংগঠন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম | আপডেট : ১২:০৯ এএম, ১৬ মার্চ, ২০১৯

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নব্য নাৎসিবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ‘ব্লাক সান’ জড়িত বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রেন্টন টারান্ট নামের ওই হামলাকারী কুখ্যাত ব্লাক সানের সদস্য। হামলার আগে টুইটারে তার প্রকাশিত এক ইশতেহারে ব্লাক সানের সঙ্গে তার সম্পর্ক পরিষ্কার করেন। টুইটারে তিনি ৮৭ পৃষ্ঠার একটি ইশতেহার দিয়েছিলেন। যেখানে হামলার পূর্ভাবাসও দেয়া হয়েছিল। ২০১১ সালে নরওয়েতে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলা থেকে ব্রেন্টন টারান্ট অনুপ্রাণিত হয়েছেন বলে টুইটে দাবি করেন। নরওয়েতে সেই ভয়াবহ হামলায় ৭৭ জন নিহত হয়েছিল। ব্রেন্টন টারান্ট টুইটারে যে ইশতেহার প্রকাশ করেছিলেন তার প্রচ্ছদে ব্লাক সানের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ব্লাক সান নিয়ে বিশ্বজুড়ে আবার হইচই শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, জার্মানির উত্তরাঞ্চলে ওয়েলসবার্গ নামক দুর্গ নির্মাণ হয় ১৬০৩ সালে। ১৬০৯ সালে সেটি উদ্বোধন করা হয়। তৎকালীন শাসকের দুর্গপ্রাসাদ হিসেবে এটি ব্যবহার হতো। জার্মান শাসক হিটলারের সময় থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত এই দুর্গটি হিটলারের বাহিনীর (এসএস) জেনারেলদের জন্য ব্যবহার হতো। ওয়েলসবার্গ দুর্গের মেঝেতে ১৯৩৩ সালে হিটলারের সময়ে একটি লোগো স্থাপন করা হয়। লোগোতে কালো গোলাকৃতির মধ্যে ১২টি সাদা রঙের ফাঁকা অংশ রয়েছে। তৎকালীন জার্মানিতে হিটলারের পরে দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি জেনারেল হেনরিক হিমলারের নেতৃত্বে এই লোগোটি বসানো হয়, যা দেখতে অনেকটা চাকার মতো। লোগোটি নাৎসি বাহিনীর দলীয় লোগোর সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে ব্লাক সান ওয়েলসবার্গের ওই চিহ্নটিই তাদের লোগো হিসেবে ব্যবহার করছে। হেনরিক হিমলার ওই দুর্গটির ডিজাইনও পরিবর্তন করেন। পরিবর্তিত ডিজাইনেই পরে লোগোটি স্থাপন করা হয়। এটিকেই মূলত ব্লাক সান বলা হয়। তৎকালীন ব্লাক সানের অনুসারীরাই বর্তমান ব্লাক সান নামক সংগঠন পরিচালনা করছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনটিকে নব্য নাৎসিবাদীদের সংগঠন হিসেবে সজ্ঞায়িত করা হয়ে থাকে। ১৯৯১ সালে লেখক রাসেল ম্যাক ক্লাউড এ বিষয়ে একটি বই প্রকাশ করেন। তার ‘জার্মান দ্য ব্লাক সান অব তাসি লুনপো’ নমের বইটিতে ব্লাক সানের কর্মকান্ড নিয়ে প্রথম লিখিত তথ্য প্রকাশ করা হয়। ওই সময় বইটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। খ্যাতিমান লেখক নিকোলাস গডরিক ক্লার্ক বইটিকে ‘অকাল্ট নাৎসি থ্রিলার’ হিসেবে সজ্ঞায়িত করেন। নাৎসীবাদীরা ব্লাক সান লোগো নিজেদের ঐতিহাসিক আদর্শের প্রতীক বলে মনে করে। হিটলারের আদর্শ থেকেই তারা নিজেদের সংগঠনের নাম দেয় ব্লাকসান। সংগঠনের লোগো হিসেবেও ব্লাক সান ব্যবহার করে। তবে তাদের এই সংগঠন কবে কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা জানা যায় না। সম্পূর্ণ গোপন এই সংগঠন বিশ্বজুড়ে হিটলারের আদর্শের অনুসারীদের নিয়ে কাজ করে। রয়টার্স, বিবিসি।



 

Show all comments
  • DR. Jahangir Miah ১৬ মার্চ, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
    Christchurch massacre. O, my Lovely all Sisters, Brothers and very warm generous human being, All Believers and non-believers ought to be united against all those who terrorize the innocents, and those who permit the killing of non-combatants without a justifiable reason. I condemn and oppose all aggression on human life, freedom and dignity anywhere in the world. All leaders (So called, president, Prime minister or any form of the world Leader -> (believe me they all are corrupted) please safeguard the lives, honor and property of Muslims, Christians, Jews, Hindus, Buddhist, and all others religion of the Wold. (True 80% of state leader destroying and spreading death). I appeal to Muslims and non-Muslims to strongly condemn this act, express unity with the victims, relatives, donate blood, money and do whatever it takes to help the affected people. Kind Regards- DR. Jahangir Miah
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ