Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রেলের হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বগুড়ায় রেলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের কদিন বাদেই ফের উচ্ছেদকৃত জায়গাগুলো অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে। গত ৩ ও ৪ মার্চ পরিচালিত অভিযানে বগুড়া শহরতলীর তিনমাথা থেকে পুর্ব দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র ফতেহ আলী ও রাজা বাজার পর্যন্ত এলাকার ৩শ ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা। উচ্ছেদকালে পাকা ও আধা পাকা স্থাপনার মধ্যে সরকারি দলের শ্রমিক সংগঠন থেকে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও উচ্ছেদ করা হয় জানান রেলের রাজশাহী বিভাগীয় স্টেট অফিসার মো. নুরুজ্জামান।

সম্প্রতি রেলের বগুড়া ও রাজশাহী বিভাগীয় স্টেট অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বগুড়ার পশ্চিম দিকে আদমদীঘী রেলস্টেশন থেকে গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জ এলাকা পর্যন্ত ১৩শ একর রেলের জমির প্রায় পুরোটাই তথাকথিত লীজ প্রক্রিয়ার ফাঁকিজুকির আইনী প্রক্রিয়ার মারপ্যাঁচে বেদখল হয়ে আছে। বেদখল হওয়া জমির আনুমানিক মূল্য হাজার কোটি টাকারও বেশি। রেলের বগুড়া অঞ্চলের মধ্যে বগুড়া রেল ষ্টেশনের আশেপাশের জমির মূল্য সবচেয়ে বেশি।

বগুড়া রেলের প্যানেল আইনজীবী চিত্তরঞ্জন বসাক বলেন, বগুড়ার বিআরটিসি মার্কেটের পাশের একটি প্লটের একজন তথাকথিত লীজ গ্রহীতা মাত্র ২ শতাংশ জমি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিক্রি করেছেন ৩ কোটি টাকায়। বিষয়টি জানার পরে ওই বিক্রি দলীল বাতিল করাসহ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে রেলের সংশ্লিষ্ট বিভাগে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়া রেলের একটি সুত্র জানায়, জামাত পল্লী হিসেবে চিহ্নিত জামিলনগর এলাকার প্রায় ১০ একর জমি ৪ দলীয় জোট সরকারের সময়ে কয়েকজন শিবিরের সিনিয়র দায়িত্বশীল সরকারি প্রভাব ও নিজেদের পেশী শক্তিকে ব্যবহার করে দখলে নিয়ে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে। সেই কারনেই এলাকাটি প্রশাসনের খাতায় মুখে মুখে জামাত পল্লী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
ওয়ান ইলেভেনের সময় বগুড়া রেলের জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল এ্যাকশনের পদক্ষেপ নেওয়া হলেও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সবকিছু থেমে যায়। জামাত শিবিরসহ সব দখলদাররাই পরে কিছু প্রভাবশালী সরকার দলের শ্রমিক নেতাদের সম্পৃক্ত করে নতুন উদ্যোমে জায়গা দখল করতে শুরু করে ।
রেলের স্টেট বিভাগের কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন, এ ধরনের তথ্য বা অভিযোগের কথা তাদের জানা নেই। অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বগুড়া রেলের একমাত্র প্যানেল আইনজীবী চিত্তরঞ্জন বসাক বলেন, রেলের মামলায় দিন হাজিরা বাবদ আইনজীবীর সম্মানী এখনও মাত্র ৩২ টাকা। বৃটিশ আমলে ৩২ টাকার মূল্য ছিল অনেক। কিন্তু পরিবর্তিতে রেল কর্তৃপক্ষের অনিহায় ৩২ টাকার হেরফের আর হয়নি। তিনি এ ব্যাপারে বর্তমান রেলমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেলের সম্পত্তি বেদখল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ