বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সংবাদ প্রকাশ না করেও শ্লীলতা ও সম্মানহানির মামলায় একটি জাতীয় দৈনিকের গৌরনদী উপজেলা প্রতিনিধির বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আদালতে গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল গৌরনদী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ইফতেখার আহম্মেদ অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে মামলাটি বিচারিক আদালতে প্রেরণ করেন।
মামলার আসামি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম জানান, গৌরনদী উপজেলা কমিটির এক ছাত্রলীগ নেতা এবং ইউপি সদস্য কর্তৃক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ ও ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আটকে রাখার খবর এলাকার সর্বত্র আলোচিত হয়। ছাত্রলীগ নেতার প্রতিপক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে দেয়। জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গত বছর ২৯ জুন ধর্ষিতার বাড়িতে গেলে তার পরিবার ঘটনার সত্যতা স্বীকার।
তবে তারা এসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধের প্রেক্ষিতে তিনি বিরত থাকেন। অথচ যারা ফেইসবুক ও পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ করেছে তাদের আসামি না করে জহিরুল ইসলামের নামোল্লেখ করে স্কুলছাত্রী শ্লীলতাহানি ও সম্মানহানির মামলা দায়ের করে। সাংবাদিক জহির অভিযোগ করেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতার অনিয়ম, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের প্রতিবেদন প্রকাশ করা করায় গৌরনদীর নব্য গডফাদার হিসেবে পরিচিত এক আওয়ামী লীগ নেতা স্কুলছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও প্রভাবিত করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছেন। গৌরনদী মডেল থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার মো. অসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের জানান, গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়নের নরসিংহলপট্টি গ্রামের চাঁন মিয়া সরদারের মেয়ে সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম জহিরের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭ সাংবাদিককে আসামি করে গত ৪ জুলাই শ্লীলতা ও সম্মানহানির একটি মামলা দায়ের করেন।
তদন্তে আসামি জহিরের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। নির্দোশ প্রমানিত হওয়ায় অজ্ঞাতনামা ৭ আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।