পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) পুনঃনির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে বলেন, যদি নির্বাচন বাতিল না করেন, তাহলে প্রয়োজনে সাবেক ডাকসু ভিপি, জিএসসহ অন্যান্য ছাত্রনেতারা মাঠে নামবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লংমার্চ করবে। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের স্বপ্নের জায়গা। এখানে আপনারা যা ইচ্ছা তাই করবেন, তা আমরা মেনে নেব না। গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষক দলের আহŸায়ক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লজ্জা থাকলে তিনি পদত্যাগ করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা বস্তা বস্তা ব্যালট নিয়ে এসে গণমাধ্যমকে দেখালো। এই ডাকসু নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয় তাহলে বাংলাদেশে সত্য বলতে আর কিছু নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আহবান করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ছাত্রছাত্রীরা যে দাবি করছে তা মেনে নিন। আর মেনে নেবেন না কেন? শুধু যে বিরোধী দল বলেছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি তা নয়। ছাত্রলীগও নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে শুরু করে পর দিন দুপুর পর্যন্ত বলেছে, এ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এছাড়া এমন কোন সংগঠন নাই, যারা এ নির্বাচন বাতিলের কথা বলে নাই।
তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা, বিচার ব্যবস্থা, শিক্ষা, শিল্প এমন কিছু নাই যা ভেঙে ফেলা হয়নি। বাংলাদেশ এখন যে পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে তাতে দেশের অস্তিত্বই এখন হুমকির মুখে।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনী কোনো ব্যবস্থায় ক্ষমতায় আসেনি। শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে গোয়ার্তুমির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল। আর ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতারা শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তখন তিনি কথা দিয়েছিলেন আর কোনো মামলা, হামলা, গ্রেফতার হবে না। কিন্তু তিনি সেই কথা রাখেননি।
দুদু বলেন, দেশ এখন বিএনপির পক্ষে রয়েছে। উপজেলা নির্বাচন, সিটি নির্বাচনসহ যে নির্বাচন হোক না কেন, বিএনপি সেই নির্বাচনে যাচ্ছে না। দেশের জনগণও ভোট দিতে যায় না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে কোনো লাভ হবে না। দেশে স্বাধীনতা আনতে লড়াই ও রক্ত দিতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান আমলে জেল থেকে মুক্ত করা হয়েছে লড়াই ও রক্তের মাধ্যমে। লড়াই ও রক্ত দিয়েই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এটা যদি আপনি মাথায় না নিতে পারেন তাহলে ভুল হয়ে যাবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।