রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস সৃষ্টি, ভোটারদের মারধর, নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা প্রদানসহ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) তারিকুল ইসলাম রবি জোয়ারদার। এ সময় তার সাথে রুহুল আমিন, আলমগীর হোসেন, গোলাম মোস্তফা ও শাহজাহান আলী উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম নির্বাচনী মাঠে নামার পর থেকেই সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন। তাকে নির্বাচনী মাঠে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সারা ইউনিয়ন জুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করা হচ্ছে। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। আনারস প্রতীকের সমর্থকদের বাড়িতে অস্ত্রধারীদের পাঠিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ধোপাবিলা গ্রামের আমার সমর্থক আমজাদ মেম্বরকে আশরাফুলের গু-াবাহিনী কুপিয়ে জখম করে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা হলেও আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) তারিকুল ইসলাম রবি জোয়ারদার জানান, ধোপাবিলা হাইস্কুলের সামনে ১০/১২টি মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে আমার সমর্থক আলম মোল্লাকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় খেজুর জোয়ারদারসহ আরো ৬/৭ জনকে মারধর করা হয়। ঘটনার সময় ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে খবরের সত্যতা পান এবং দুই বস্তা রামদাসহ নৌকার ক্যাডার মতিয়ার রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তিনি অভিযোগ করেন নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন জনযুদ্ধের ক্যাডার ইসাহাক আলী, মন্টু মহুরী, মিজান ও শহিদুল আনারস প্রতীকের সমর্থকদের প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে চলেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) তারিকুল ইসলাম রবি জোয়ারদার দাবি করেন নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যেতে নৌকার প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম তাকে হুমকি দিচ্ছে। ‘তোকে যেন ভোটের মাঠে না দেখি’ এই বলে শাসানো হচ্ছে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ভয়ে নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে ঝিনাইদহ শহরে পালিয়ে বেড়াচ্ছি বলে দিনি দাবি করেন। এ সব বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।