মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থা তৈরি হবার ফলে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ সেদেশে ভারতীয় সিনেমা ও টিভি চ্যানেলগুলোও বন্ধ করে দিয়েছে।
বিবিসির সংবাদদাতা ইলিয়াস খান আর শুমায়লা জাফরি রিপোর্ট করছেন, এটা হয়তো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে খুবই সহজ, কিন্তু একটা সন্দেহও দেখা দিয়েছে যে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ ভুল জায়গায় আঘাত হেনেছে কিনা।
কারণটা হলো, ১৯৪৭ সাল থেকে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে যতই শত্রুতা-বৈরিতা থাকুক, পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে বলিউড-প্রীতি কিন্তু চিরকালই অটুট রয়ে গেছে।
কিন্তু ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জঙ্গী হামলার জবাবে ভারত যখন পাকিস্তানের ভেতরে বিমান হামলা চালালো, এবং পাকিস্তান তার জবাবে ভারতের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করলো - তখন পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ একটা বাড়তি পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সেদেশে বলিউড ছবি প্রদর্শন বন্ধ করে দিল, যেমনটা আগেও অনেকবার হয়েছে।
তবে মনে রাখা দরকার - প্রথম নিষেধাজ্ঞা কিন্তু আরোপিত হয় ভারতেই।
কাশ্মীর আক্রমণের পর সর্বভারতীয় সিনে ওয়ার্কার্স সমিতি পাকিস্তানি অভিনেতা-কলাকুশলীদের বলিউডে কাজ করার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তার জবাবেই পাকিস্তানের পাল্টা ব্যবস্থা।
এর আগে ২০১৬ সালেও 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' ঘটনাবলীর সময় পাকিস্তানের ফাওয়াদ খানের বলিউড ছবিতে অভিনয় নিষিদ্ধ করা হয়। পাকিস্তানের চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি বলেছে, তারা বলিউড ছবি মুক্তি দেয়া নিষিদ্ধ করছে। মার্চ মাসে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত আরেক কাঠি এগিয়ে এক রুলিং দিলেন যে পাকিস্তানের কোন টিভি চ্যানেলে কোন ভারতীয় 'কনটেন্ট' সম্প্রচার করা যাবে না। এর আওতায় পড়েছে ভারতীয় ফিল্ম, বিজ্ঞাপন এবং টিভি সিরিয়াল।
বলা বাহুল্য, এই পদক্ষেপ অনেকের সমর্থনও পেয়েছে - যারা মনে করেন, যে দেশ পাকিস্তানের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে, কী করে তাদের সিনেমা-নাটক পাকিস্তানে মুক্তি পেতে পারে?
কিন্তু এর একটা বিপরীত পক্ষও আছে। পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে একটা বড় অংশ আছে - যারা মনে করে ভারতীয় সিনেমা-নাটকে তারা যে বিনোদন পান, তা এই নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করার যে দেশাত্মবোধ - তার চেয়ে কম নয়।
যেমন 'ফিল্মের পোকা' আলি শিওয়ারি। ভারতের সিনেমা তাকে এতই অনুপ্রাণিত করেছে যে তিনি এখন চলচ্চিত্র অধ্যয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
"আমি বড়ই হয়েছি শাহরুখ খান, সালমান খান, আর আমির খানের ছবি দেখে" - বলেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।