Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ভারতীয় টিভি-সিনেমা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ১১:১৫ এএম | আপডেট : ৭:১৭ পিএম, ১৪ মার্চ, ২০১৯

কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থা তৈরি হবার ফলে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ সেদেশে ভারতীয় সিনেমা ও টিভি চ্যানেলগুলোও বন্ধ করে দিয়েছে।

বিবিসির সংবাদদাতা ইলিয়াস খান আর শুমায়লা জাফরি রিপোর্ট করছেন, এটা হয়তো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে খুবই সহজ, কিন্তু একটা সন্দেহও দেখা দিয়েছে যে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ ভুল জায়গায় আঘাত হেনেছে কিনা।

কারণটা হলো, ১৯৪৭ সাল থেকে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে যতই শত্রুতা-বৈরিতা থাকুক, পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে বলিউড-প্রীতি কিন্তু চিরকালই অটুট রয়ে গেছে।

কিন্তু ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জঙ্গী হামলার জবাবে ভারত যখন পাকিস্তানের ভেতরে বিমান হামলা চালালো, এবং পাকিস্তান তার জবাবে ভারতের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করলো - তখন পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ একটা বাড়তি পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সেদেশে বলিউড ছবি প্রদর্শন বন্ধ করে দিল, যেমনটা আগেও অনেকবার হয়েছে।

তবে মনে রাখা দরকার - প্রথম নিষেধাজ্ঞা কিন্তু আরোপিত হয় ভারতেই।

কাশ্মীর আক্রমণের পর সর্বভারতীয় সিনে ওয়ার্কার্স সমিতি পাকিস্তানি অভিনেতা-কলাকুশলীদের বলিউডে কাজ করার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তার জবাবেই পাকিস্তানের পাল্টা ব্যবস্থা।

এর আগে ২০১৬ সালেও 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' ঘটনাবলীর সময় পাকিস্তানের ফাওয়াদ খানের বলিউড ছবিতে অভিনয় নিষিদ্ধ করা হয়। পাকিস্তানের চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি বলেছে, তারা বলিউড ছবি মুক্তি দেয়া নিষিদ্ধ করছে। মার্চ মাসে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত আরেক কাঠি এগিয়ে এক রুলিং দিলেন যে পাকিস্তানের কোন টিভি চ্যানেলে কোন ভারতীয় 'কনটেন্ট' সম্প্রচার করা যাবে না। এর আওতায় পড়েছে ভারতীয় ফিল্ম, বিজ্ঞাপন এবং টিভি সিরিয়াল।

বলা বাহুল্য, এই পদক্ষেপ অনেকের সমর্থনও পেয়েছে - যারা মনে করেন, যে দেশ পাকিস্তানের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে, কী করে তাদের সিনেমা-নাটক পাকিস্তানে মুক্তি পেতে পারে?

কিন্তু এর একটা বিপরীত পক্ষও আছে। পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে একটা বড় অংশ আছে - যারা মনে করে ভারতীয় সিনেমা-নাটকে তারা যে বিনোদন পান, তা এই নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করার যে দেশাত্মবোধ - তার চেয়ে কম নয়।

যেমন 'ফিল্মের পোকা' আলি শিওয়ারি। ভারতের সিনেমা তাকে এতই অনুপ্রাণিত করেছে যে তিনি এখন চলচ্চিত্র অধ্যয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

"আমি বড়ই হয়েছি শাহরুখ খান, সালমান খান, আর আমির খানের ছবি দেখে" - বলেন তিনি।



 

Show all comments
  • jahir ১৪ মার্চ, ২০১৯, ৩:০৬ পিএম says : 0
    Wrong idea and wrong decision
    Total Reply(0) Reply
  • ash ১৪ মার্চ, ২০১৯, ৮:১৩ পিএম says : 0
    VAROTER JOTO TV PROGRAM SHOB BANGLADESH O BONDHO KORA WCHITH !! NA HOLE AMADER YOUNG GENERATION DONGSHO HOE JABE !! TAI TO VAROTER MOTO DORSHON & MURDER BANGLADESH EO OHOROHO GOTCHE JETA AGE AMADER DESHE E SILO NA !! SHOB KISUTEI VAROTER AKTA BATASH BOISE BANGLADESH E !! EVEN BIE TEO AGER MOTO BIA R HOY NA, AKTU HINDU HINDU VAB MOST BIA TE
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ