মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বজুড়ে ১২০০-রও বেশি প্রাণী প্রজাতি তাদের ৯০ শতাংশেরও বেশি আবাসস্থলে টিকে থাকার হুমকিতে আছে। কোনও ধরনের সংরক্ষণের উদ্যোগ না নেওয়া হলে ‘অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বিলুপ্তি’র মুখে পড়বে তারা। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির বিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কা জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রজাতির আবাসস্থলের ৫,৪৫৭ প্রজাতির পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী ও উভচর প্রাণীর আবাসস্থল নিয়ে গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। পিএলওএস বায়োলজিতে নতুন গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে কৃষি, নগরায়ন, রাত্রিকালীন আলোকসজ্জা, সড়ক, রেল, পানি পথ ও জনসংখ্যার ঘনত্বের মতো হুমকিগুলোর কারণে প্রজাতিগুলো যেসব জায়গায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেগুলোকে ‘হটস্পট’ নাম দেওয়া হয়েছে। আর এ ধরনের হুমকি থেকে পালিয়ে প্রাণি প্রজাতিরা যেসব জায়গায় আশ্রয় নেয়, সেগুলোকে ‘কুলস্পট” নাম দেওয়া হয়েছে।
গবেষকরা শুধু সেসব হুমকিকে বিবেচনায় নিয়েছেন যেগুলো প্রজাতি আবাসের এলাকায় কোনও প্রজাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য দায়ী। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা যে সংখ্যক প্রাণী প্রজাতিকে গবেষণার আওতায় নিয়েছিলেন তার প্রায় এক চতুর্থাংশই তাদের ৯০ শতাংশ চলাচলের এলাকায় হুমকির কবলে পড়েছে। ৭ শতাংশ অর্থাৎ ৩৯৫ প্রজাতির ক্ষেত্রে এ পরিস্থিতি খুব বেশি খারাপ ছিল। এরা তাদের পুরো আবাস এলাকায় কমপক্ষে একটি প্রাসঙ্গিক হুমকির মধ্যে পড়ে।
কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেমস অ্যালান বলেন, ‘এ ফলাফলগুলো খুব উদ্বেগের। এর কারণ যে হুমকিগুলো আমরা শনাক্ত করেছি তা প্রজাতির জন্য সুনির্দিষ্ট। প্রাণি প্রজাতির সংখ্যা হ্রাস ও তাদের বিলুপ্তির হুমকি তৈরির মুখ্য কারণ এগুলো। যখন কোনও হুমকি কোনও প্রজাতির ওপর আছড়ে পড়ে তখন আমরা জেনে যাই এ প্রজাতির সংখ্যা কমতে থাকবে।’
অ্যালান জানিয়েছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে হটস্পট ও কুলস্পট পাশাপাশি পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে অবশ্যই কুলস্পটগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এসব এলাকায় যেন হুমকি তৈরি না হয় তার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আশা করার মতোও জায়গা আছে। তাহলো, আমরা যে হুমকিগুলো শনাক্ত করেছি, সেগুলোকে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রুখে দেওয়া সম্ভব।’
যেসব দেশে প্রাণি প্রজাতির আবাস বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে আছে-ব্রাজিল, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড। হুমকির কবলে পড়া প্রাণীদের বিকল্প আশ্রয়স্থল বা কুলস্পটগুলোর বেশিরভাগের অবস্থান দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, অ্যামাজন জঙ্গল এবং আন্দেজ ও লাইবেরিয়ার কিছু এলাকায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।