Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হায়দারের সাড়ে ৪ হাজার ফুট লম্বা তসবীহ

গিনেজ বুকে নাম উঠানোর আবেদন উপহার দিতে চান এরদোগানকে

খ আ ম রশিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

মুসলমানদের কাছে তসবীহ মহান আল্লাহ্র ইবাদতের একটি উপকরণ। ধর্মপ্রাণ মুসলমান নর-নারীদের প্রায় সকলেই নামাজের পরে তসবীহ পাঠ করেন।
তসবীহ পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ্ তাআলাকে স্মরণ করার পাশাপাশি ইবাদতকারী আল্লাহ্ তাআলার শান-মান বর্ণনা করেন। তসবীহ দিয়ে এবার বিশ্ব রেকর্ড গড়তে চাচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের আব্দুল্লাহ্ আল হায়দার। প্রায় সাড়ে চার হাজার ফুট লম্বা তসবীহ তৈরি করে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এ নাম উঠানোর আবেদন করেছেন তিনি। চার রঙের ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০টি পুথি দিয়ে তসবীহটি তৈরি করা হয়েছে। দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা এই তসবীহটির ওজন ৬৭টি কেজিরও বেশি।
হায়দারের দাবি, পুথি দিয়ে তৈরি তার এ তসবীহ এখন পর্যন্ত বিশ্বের সর্ববৃহৎ তসবীহ। ধর্মীয় মূল্যবোধের পাশাপাশি বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে এ তসবীহ তৈরি করেছেন তিনি।

হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, ইন্টারনেট ঘেটে দেখেছি পাকিস্তানে ৬০ কেজি ওজনের একটি তসবীহ রয়েছে। সে অনুপাতে আমার তসবীহটি লম্বা এবং ওজনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হবে। এনিয়ে আরেকটি ইচ্ছের কথাও জানান হায়দার। যদি সুযোগ পাই তাহলে তসবীহটি আমি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে উপহার দিতে চাই। যেহেতু ওনি সবচেয়ে বড় মসজিদ নির্মাণ করেছেন তাই আমি তসবীহটি তাকে দিতে চাই।
জালশুকা গ্রামের শরীফ আবাদুল্লাহ্ হারুন ও খোশ নাহার বেগম দম্পতির ছয় সন্তানের মধ্যে সবার ছোট হায়দার। পড়ালেখা শেষ করে এখন বাড়িতেই অলস সময় কাটছে তার। তাই এই অলস সময়টাকে কাজে লাগানোর জন্য সিদ্ধান্ত নেন এমন কিছু করার যাতে রেকর্ড গড়া যায়। তাই মা খোশ নাহার বেগমের অনুমতি নিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই তসবীহ তৈরির কাজ শুরু করেন। বছরের শুরুতে ২ জানুয়ারি থেকে তসবীহ তৈরির কাজ শুরু করেন হায়দায়।
মো. আরিফুল ইসলাম নামে তার বন্ধু একাজে সহযোগিতা করেন। প্রায় দুই মাস কাজ করে তসবীহটি তৈরির কাজ সম্পন্ন করেন তিনি। হায়দারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বিশাল আকৃতির ওই তসবীহ। বাড়ির একটি কক্ষের মেঝেতে কাপড়ের উপর তসবীহটি রাখা হয়েছে। বিশাল আকৃতির এ তসবীহর খবর পেয়ে অনেকেই উৎসুক হয়ে এটি দেখার জন্য হায়দারের বাড়িতে আসছেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গিনেজ বুক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ