মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, এনডিএ জোট আসলে কাগজে-কলমে একটি গোষ্ঠী। কোনও দলই সঙ্গে নেই তাদের। এদিকে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি আর প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না।
বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে যে কংগ্রেস একঘরে। সঙ্গী কেউ নেই। উত্তরপ্রদেশে জোটে নেই কংগ্রেস। দিল্লিতে আপের সঙ্গে জোটের আলোচনা করেও শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রে এনসিপি, ঝাড়খন্ডে জেএমএম এবং তামিলনাড়–তে ডিএমকে ছাড়া কার্যত কংগ্রেসের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত জোট হয়নি কোনও দলের। তাই কংগ্রেস একা, সঙ্গে কেউ নেই।
বুধবার তামিলনাড়–তে গিয়ে সেই আক্রমণের জবাব দিলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সভাপতি বলেন, মোদি সরকারকে সরাতে বিরোধীরা একজোট। বিজেপিই বরং নিঃসঙ্গ।
নির্বাচনী প্রচারে বুধবার চেন্নাই যান রাহুল গান্ধী। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন রাহুল। সেই অনুষ্ঠানে রাহুলকে দেখা যায় চিরাচরিত সাদা পাজামা-পাঞ্জাবির বদলে জিন্স ও টি-শার্টে। হালকা মেজাজে ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দেন রাহুল। এক ছাত্রী তাঁকে ‘রাহুল স্যার’ বলায় পাল্টা তাঁকে শুধু ‘রাহুল’ সম্বোধনও করতে বলেন। তবে তার মধ্যেই রাফাল, সিবিআই-আরবিআই-এর মতো প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের মতো অভিযোগও তুলে ধরার চেষ্টা করেন কংগ্রেস সভাপতি।
পরে চেন্নাইতেই এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল। বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে কংগ্রেস একঘরে। সঙ্গী কেউ নেই। তামিলনাড়–তে ডিএমকে’র সঙ্গে এবং মহারাষ্ট্রে এনসিপির সঙ্গে জোটের প্রসঙ্গ টেনে রাহুল বলেন, ‘বিরোধীরা জোটবদ্ধ। সব দল চাইছে, মোদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে।’
এই প্রসঙ্গেই এনডিএ জোট নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করে রাহুলের কটাক্ষ, ‘‘এনডিএ জোট আসলে কাগজে-কলমে একটি গোষ্ঠী। কোনও দলই সঙ্গে নেই।’
এদিকে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বলেছেন, এ বার লোকসভা ভোটের ফলাফলে বিজেপি একক বৃহত্তম দল হলেও হতে পারে সংসদে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী আর প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না। সংবাদ সংস্থাকে শরদ বলেন, ‘আমি মনে করি নরেন্দ্র মোদি আর প্রধানমন্ত্রী হবেন না। কারণ, বিজেপি ক্ষমতায় ফেরার জন্য ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারবে না। তবে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসতে পারে বিজেপি। আর সেই অবস্থায় সরকার গড়তে অন্য দলের সাহায্য প্রয়োজন হবে। তখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অন্য কাউকে খুঁজবে বিজেপি।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বিজেপি একাই ২৮৩টি আসন পেয়েছিল। আর এনডিএ পেয়েছিল ৩২৬টি আসন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।