বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় রোগীর দুই স্বজনকে মারধর করেছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মরত আনসার সদস্যরা। মারধর করে ক্ষান্ত হননি, তারা জনসম্মুখে রোগীর স্বজনদের কান ধরিয়ে ওঠবস করান। কারণ আহতরা যাতে অভিযোগ না করেন, এজন্য কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নিয়ে ছেড়ে দেন।
গতকাল সোমবার দিনগত মধ্যরাতে হাসপাতালের অভ্যর্থনা কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
বেধড়ক মারধরে আহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সওতরপাড়ার কালিপুরের সাঞ্জব আলীর ছেলে ইসমাইল আলী (৩৫) ও একই এলাকার দশারত বিশ্বাসের ছেলে জ্যোতিন্দ্র বিশ্বাস (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রোগীর স্বজনেরা জানান, গ্রামে মারামারির ঘটনায় আহতদের নিয়ে হাতপাতালের অভ্যর্থনা কক্ষে আসেন ইসমাইল আলী ও জ্যোতিন্দ্র বিশ্বাসসহ রোগীর কয়েকজন স্বজন। ভর্তিচলাকালীন হুলস্থুল শুরু হলে কর্মরত আনসার সদস্য রূপক ও মেহেদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের লাঠিপেটা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন আনসারের পিসি (প্লাটুন কমাণ্ডার) নাছির উদ্দিন। তিনিও ইসমাইল ও জ্যোতিন্দ্রকে কান ধরিয়ে উঠবস করানোর পর হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে সাদা কাগজে সই রেখে ছেড়ে দেন।
এদিকে ঘটনাটি দেখে হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনেরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আহতরা ইসমাইল আলী জানান, এলাকায় তাদের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। আহতদের ভর্তিতে করাতে গেলে অন্য লোকজন হট্টগোল শুরু করে, তাদের উপর চড়াও হন আনসার সদস্যরা। এমনকি তাদের কান ধরিয়ে ওঠবস করানো ও কাগজে সই রেখেছেন। এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে আনসারের পিসি নাছির উদ্দিন বলেন, রোগীর স্বজনেরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে লাঠিপেটা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।