পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ঘটে যাওয়া নানা অনিয়মের জন্য হল প্রশাসনকে দায়ী করেছেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, আমি বিব্রত। আমার কোন ক্ষমতা নাই। তোমরা এসেছ, লিখিত অভিযোগ দিয়েছ, আমি তোমাদের কথা শুনেছি, ডকুমেন্ট হিসেবে লিখিত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছি। কিন্তু নির্বাচন বাতিল কিংবা পুনঃতফসিলের ঘোষণা করতে পারবো না। সে শক্তি ক্ষমতা আমার নেই। কমিটি আছে, সেখানে বিষয়টি উপস্থাপন করবো। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না। যদি তোমরা না মানো তবে পারলে মামলা করতে পারো। হলে হলে অনিয়মের অভিযোগে ছাত্রলীগ ছাড়া বাকী প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করে গতকাল (সোমবার) বিকেলে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন বর্জন করা বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অনিয়মের কথা উল্লেখ করে ভোটের ফলাফল ঘোষণা না করার দাবি জানান। জবাবে মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি কিছু বলবো না। তোমাদের কথা শুনেছি।
কর্মী ও প্রার্থীরা তখন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ছাত্রলীগকে জিতিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আপনারা নিয়ে থাকলে আমাদের কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করালেন। তখন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, যেসব ঘটনা আজ (গতকাল) ঘটেছে সেগুলোর জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে বিব্রত। তারা বলেন, স্যার আপনি বিব্রত হলে কী হবে? আপনার অধীনে থেকে ভোটে কারচুপি হবে আর আপনি বিব্রত হয়ে একটি পক্ষকে জেতানোর কাজ করবেন, তা কী করে হয়? জবাবে মাহফুজুর রহমান বলেন, আমার কী ক্ষমতা আছে বলো? আমি যথাযথ জায়গায় তোমাদের কথাগুলো জানাবো।
পরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন প্রার্থীরা। লিখিত অভিযোগে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী লিটন নন্দী, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এ আর এম আনিসুর রহমান, একই পদে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের প্রার্থী উম্মে হাবিবা বেনজির, স্বতন্ত্র জোটের সহ-সভাপতি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রাশেদ খান স্বাক্ষর করেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদানে বাধা দান, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়া, কারচুপি, প্রার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা, ভোট বাক্স নিয়ে লুকোচুরি, ভোট দেয়ার পরও লাইনে দাঁড়িয়ে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, স্বতন্ত্র জোট ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনসহ অধিকাংশ প্রার্থীরাই নির্বাচন বর্জন করেছি।
এ প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। কোনো ক্রমেই এই প্রহসনের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও মর্যাদাকে ভ‚লুণ্ঠিত করা যাবে না। অতএব নির্বাচনটি বাতিল ও পুনঃতফসিল ঘোষণার আশু পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রত্যাশা করছি।
লিখিত অভিযোগ দাখিলের পর ড. এস এস মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি ফলাফল স্থগিত করতে পারি না। এ জন্য কমিটি আছে, সেখানে সিদ্ধান্ত হবে। তবে যেখানে জালিয়াতি হয়েছে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কুয়েত মৈত্রী হলে সিল মারা ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে। প্রভোস্ট পরিবর্তন করে নতুন প্রভোস্টের নেতৃত্বে নতুন করে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রোকেয়া হলে ঝামেলা হয়েছে, সেখানে সাদা ব্যালট নিয়ে তুলকালাম হলেও জালিয়াতির প্রমাণ মেলেনি। তবুও ভোট বন্ধ থাকা ও ঝামেলার দায় হল প্রশাসনের। এর সবই তদন্ত করা হবে। বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা এ সময় তাকে ছাত্রলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগ তুলে দালাল বলে আখ্যায়িত করেন। শ্লোগানে শ্লোগানে প্রশ্ন আর অভিযোগের তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরে কমিটির সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা লিখে দেন। তিনি বলেন, আর কিছু বলবো না। তোমরা মেনে নিতে না পারলে মামলা করতে পারো।
পরে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা কক্ষ থেকে বের হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী লিটন নন্দী। তিনি বলেন, মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচির ঘোষণার সময় পুনরায় ডাকসু নির্বাচন বাতিল ও পুনঃতফসিলের দাবি জানান তিনি।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।