পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাকিস্তান আমলের ইয়াহিয়া-আয়ুবের আমলকেও এ ডাকসু নির্বাচনের কলঙ্ক হার মানিয়েছে বলে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ডাকসুর ইতিহাসে এমন কলঙ্ক আর কখনো সংঘটিত হয়নি। পাকিস্তানের ইয়াহিয়া- আইয়ুব এমনকি স্বাধীনতার পর এরশাদ আমলেও ডাকসু নির্বাচনে এমন কলঙ্ক হয়নি। ডাকসু নির্বাচনে যা হলো তা গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ফের কলঙ্কিত করেছে। সরকার যে নির্বাচনী সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে তা রুখে দেয়া জরুরি।
গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ডাকসু নির্বাচনে আগের রাতে ব্যালট পেপারে টিক প্রদান করে বস্তা ভর্তি করে রাখা, ব্যালট পেপার অন্যত্র সরিয়ে রাখা, বুথ জ্যাম করে রেখে শিক্ষার্থীদের ভোট দানে বাধা প্রদান করা, লিটন নন্দী, অরণি, নূরু, দীপ্তিসহ প্রার্থীদের শারীরিক নির্যাতন করাসহ ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন কর্তৃক নানা অনিয়মের তীব্র নিন্দা জানান। সেই সাথে তিনি পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান।
আওয়ামী শাসন আমলে ডাকসু নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু হয়নি- আ স ম রব
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব এক বিবৃতিতে বলেছেন, আওয়ামী শাসনামলে ডাকসু নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু হয়নি। তিনি সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের দাবি মতে বিতর্কিত নির্বাচন বাতিল ঘোষনা করে নতুন ভাবে নির্বাচনের সময়সূচি দেয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, ৭৩ এর ডাকসু নির্বাচনে জেএসডি সমর্থিত ছাত্রলীগের মাহবুব-জহুর পরিষদ ৮০ ভাগ ভোট পেয়ে যখন বিজয়ী হচ্ছিল তখন ব্যালট বাক্স হাইজ্যাক করে এ বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়। ২৮ বছর ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবকদের দীর্ঘ প্রত্যাশিত ডাকসু নির্বাচন দিতে বাধ্য হলেও ভোট গ্রহনের স্থান নিয়ে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মতামত প্রত্যাখ্যান, আজকে নির্বাচনের দিনও বিরোধী প্যানেলের প্রার্থীদের উপর হামলা, আগের রাতে ব্যালট বাক্সে ভোট ভরে রাখা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের মত ছাত্রদের নির্বাচনও এই সরকারের আমলে কলঙ্কিত হল।
ডাকসু নির্বাচনেও জাতীয় নির্বাচনের ছায়া-বাম গণতান্ত্রিক জোট
ডাকসু নির্বাচনেও জাতীয় নির্বাচনের ছায়া পড়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, ভোট কারসাজি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আশঙ্কাই প্রমাণিত হলো। বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ ডাকসু এধরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। এর পাশাপাশিতে পুনঃনির্বাচন দাবি করেন।
বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ এর সনম্বয়ক বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ ও পরিচালনা পরিষদের সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, খালেকুজ্জামান, শাহ আলম, মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, সাইফুল হক, আকবর খান, জোনায়েদ সাকি, ফিরোজ আহম্মেদ, মোশাররফ হোসেন নান্নু, অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, মোশরেফা মিশু, হামিদুল হক এক যুক্ত বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয় স্বাধীনতার পর ’৭৩ সালে আওয়ামী ছাত্র সংগঠন ব্যালট বাক্স ছিনতাই করার মধ্য দিয়ে যে কলংকজনক অধ্যায় আওয়ামী ছাত্রলীগ শুরু করেছিল এবারের ডাকসু নির্বাচনে তাই ভিন্নরূপে প্রকাশিত হয়েছে। কুয়েত-মৈত্রী হলে ভোট শুরুর আগে আগাম ব্যালট পেপারে ভোট দিয়ে বস্তা ভর্তি করে রাখা বাস্তবে জাতীয় নির্বাচনের মতোই এ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির জ্বলন্ত নজির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।