পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ গমণে বাধা না দিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেেেনর বিদেশ গমণে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। শুনানিতে খন্দকার মাহবুব হোসেন আপিল বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বর্তমান বিরোধী দল এবং সরকারের বিরাগভাজন ব্যক্তিদের অযাথা হয়রানী জন্য উপরের নির্দেশের কথা বলে দীর্ঘ সময় বিমানবন্দরে বসিয়ে হয়রানী করা নিত্তনৈমেত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের সম্মানিত নাগরিকদের সম্মানহানি ও হ্যানস্তা করা হচ্ছে। এটা বন্ধ করা অবশ্যক। আদালত সরকার পক্ষে শুনানি গ্রহণ করে মইনুল হোসেনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমণে বাধা না দিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, গত ৩ মার্চ হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ মইনুল হোসেনকে বিদেশ গমণে বাধা না দিতে অন্তরবর্তীকালীন আদেশ দেন। একইসঙ্গে তাকে বিদেশ গমণে বাধা দেয়া কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন। ১০ মার্চ চেম্বার আদালত ওই আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। গত ২৩ মার্চ মইনুল হোসেন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে যাওয়ার জন্য শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশ করলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তার পাসপোর্ট নিয়ে যায় এবং অপেক্ষা করতে বলে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর বলা হয়, যেহেতু তিনি অনেক মামলার আসামি, সেহেতু তাকে বিদেশ গমণের অনুমতি দেয়া সম্ভব নয়। খন্দকার মাহবুব হোসেন জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। যেতে না পারায় একদিকে টিকেট বাবদ তার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে ডাক্তারের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করার পর অনুপস্থিত থাকায় পরবর্তী অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া কঠিন। আর তার বিরুদ্ধে যে মামলার কথা বলা হয়েছে তার সব মামলায় তিনি জামিনে আছেন। বেআইনীভাবে করায় অনেক মামলা ইতিমধ্যেই উচ্চ আদালত স্থগিত করেছেন। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বেআইনীভাবে চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমণে বাধা দেয়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন। তিনি আরো বলেন, সংবিধানের ৩৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো নাগরিকের বিদেশে যাওয়া এবং দেশে প্রবেশ করার অধিকার মৌলিক অধিকার। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।