পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কলঙ্কিত অ্যাখ্যা দিয়ে তা বাতিল ও পুনঃতফসিল দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের শিক্ষকরা। তারা বলেন, ভোটের আগের রাতে একটি সংগঠনের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দিয়ে বস্তা ও ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখার মতো নির্লজ্জ জালিয়াতি ও নানা গুরুতর অনিয়মের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনকে কলঙ্কিত করা এবং গোটা জাতি ও বিশ্বের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ভূমিকাকে ভূলুন্ঠিত করার ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গতকাল (সোমবার) সাদা দল সমর্থক শিক্ষকরা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেন, বাংলাদেশে যখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিপন্ন, মানুষ যখন ভোট ব্যবস্থার প্রতি চরম অনাগ্রহী, ঠিক সে সময় অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোট জাতি পরম আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল। প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের ভূলুন্ঠিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জয়যাত্রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হবে। যদিও এ নির্বাচন আয়োজনের শুরু থেকে প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও ক্রিয়াশীল সকল দল ও সংগঠনের মধ্যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে ব্যাপক আশঙ্কা ছিল। তফসিল ঘোষণার পূর্বে এবং পরে তারা নানাভাবে তাদের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করে আসছিলেন। শিক্ষক সংগঠন হিসেবে সাদা দলও এ নির্বাচনী প্রক্রিয়া তাদের যুক্ত করার দাবিসহ একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের কথা কর্তৃপক্ষকে বলে আসছিল। সর্বশেষ গতকাল ১০ মার্চ একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে এ নির্বাচন যে অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না, নানা কারণ ও যুক্তি দিয়ে আমাদের আশঙ্কা ও উৎকন্ঠা বিষয়ে দেশবাসী এবং কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন কমিশন আমাদের কোনো দাবিকেই আমলেই নেয়নি।
তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় গণতন্ত্রের সূতিকাগার। আমাদের প্রত্যাশা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ঐতিহ্য রক্ষার্থে ডাকসু নির্বাচনকে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন। কিন্তু তা না করায় জাতীয় নির্বাচনের মতো বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল এবং রোকেয়া হলসহ বিভিন্ন হলে রাতের বেলায় ভোট কাস্ট করে রাখার যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা জাতি প্রত্যক্ষ করলো শিক্ষক হিসেবে আমরা এতে ক্ষুব্ধ, লজ্জিত ও ভীষণভাবে মর্মাহত। যে সব শিক্ষক এ কলঙ্কময় ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের এ অপকর্মের দায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ কোনোভাবেই নেবে না। অভিযুক্তদের নিজ নিজ পদ থেকে শুধু অব্যাহতি দেয়ায়ই যথেষ্ট নয়। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে তাদের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ মোর্শেদ হাসান খান, ড. সদরুল আমিন, ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ড. মোঃ আখতার হোসেন খান, ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. মো. আবুল কালাম সরকার, মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. মামুন আহমেদ, ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. মো. নুরুল আমিন, ড. মো: আবদুর রশীদ, মো. মাহফুজুল হক, ড. লায়লা নূর ইসলাম, ড. দিলীপ কুমার বড়ূয়া, ড. মো. মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া, আ কা ফিরোজ আহমদ, ড. বোরহান উদ্দীন খান, তাহমিনা আখতার, হোসনে আরা বেগম, ড. মোঃ আবুল বাশার, ড. শেখ নজরুল ইসলাম, ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, ড. মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী, মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, ড. ছিদ্দিকুর রহমান নিজামী, আহমেদ জামাল আনোয়ার, ড. মোবাশ্বের মোনেম, ড. মোঃ আবুল বাসার, কাওসার হোসেন টগর, ড. জাহিদুল ইসলাম, ড. সিরাজুল হক, এমএ কাউসারসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।