Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কলঙ্কিত নির্বাচন বাতিল ও পুনঃতফসিল দাবি ঢাবি শিক্ষকদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৯, ৫:১৮ পিএম | আপডেট : ৫:২১ পিএম, ১১ মার্চ, ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কলঙ্কিত অ্যাখ্যা দিয়ে তা বাতিল ও পুনঃতফসিল দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের শিক্ষকরা। সোমবার (১১ মার্চ) সাদা দল সমর্থক শিক্ষকদের বিবৃতি বলা হয়, দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকসু ও ১৮টি হলের সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। ভোটের আগের রাতে একটি সংগঠনের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দিয়ে বস্তা ও ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখার মতো নির্লজ্জ জালিয়াতি ও নানা গুরুতর অনিয়মের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনকে কলঙ্কিত করা এবং গোটা জাতি ও বিশ্বের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ভূমিকাকে ভূলুন্ঠিত করার ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

শিক্ষকরা বলেন, বাংলাদেশে যখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিপন্ন, মানুষ যখন ভোট ব্যবস্থার প্রতি চরম অনাগ্রহী, ঠিক সে সময় অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোট জাতি পরম আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল। প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের ভূলুন্ঠিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জয়যাত্রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হবে। যদিও এ নির্বাচন আয়োজনের শুরু থেকে প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও ক্রিয়াশীল সকল দল ও সংগঠনের মধ্যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে ব্যাপক আশঙ্কা ছিল। তফসিল ঘোষণার পূর্বে এবং পরে তারা নানাভাবে তাদের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করে আসছিলেন। শিক্ষক সংগঠন হিসেবে সাদা দলও এ নির্বাচনী প্রক্রিয়া তাদের যুক্ত করার দাবিসহ একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের কথা কর্তৃপক্ষকে বলে আসছিল। সর্বশেষ গতকাল ১০ মার্চ একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে এ নির্বাচন যে অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না, নানা কারণ ও যুক্তি দিয়ে আমাদের আশঙ্কা ও উৎকন্ঠা বিষয়ে দেশবাসী এবং কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন কমিশন আমাদের কোনো দাবিকেই আমলেই নেয়নি।

তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় গণতন্ত্রের সূতিকাগার। আমাদের প্রত্যাশা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ঐতিহ্য রক্ষার্থে ডাকসু নির্বাচনকে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন। কিন্তু তা না করায় জাতীয় নির্বাচনের মতো বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল এবং রোকেয়া হলসহ বিভিন্ন হলে রাতের বেলায় ভোট কাস্ট করে রাখার যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা জাতি প্রত্যক্ষ করলো শিক্ষক হিসেবে আমরা এতে ক্ষুব্ধ, লজ্জিত ও ভীষণভাবে মর্মাহত। যে সব শিক্ষক এ কলঙ্কময় ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের এ অপকর্মের দায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ কোনোভাবেই নেবে না। অভিযুক্তদের নিজ নিজ পদ থেকে শুধু অব্যাহতি দেয়ায়ই যথেষ্ট নয় বলে আমরা মনে করি। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে নৈতিক স্খলন জনিত অপরাধে তাদের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। গ্রহণযোগ্য তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটিতে বিরোধী মতের শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। জাতির যে কোনো ক্রান্তিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতিকে পথ দেখিয়েছে। শতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় যেন নিজেই পথ হারিয়ে না বসে। সচেতন শিক্ষক হিসেবে আমরা এ দায়িত্ব কোনোভাবেই গ্রহণ করতে পারি না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব, মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে কলঙ্কিত নির্বাচন বাতিল ও পুনঃতফসিল ঘোষণা করে অবিলম্বে নতুন করে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জোর দাবি জানান তারা। একইসাথে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কের দায় থেকে মুক্ত করার ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারও করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ মোর্শেদ হাসান খান, ড. সদরুল আমিন, ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ড. মোঃ আখতার হোসেন খান, ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. মো. আবুল কালাম সরকার, মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, ড. মো. শহীদুল ইসলাম, ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, মুক্তার আলি, ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. মামুন আহমেদ, ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. মোঃ মেহেদী মাসুদ, ড. মো. নুরুল আমিন, ইসরাফিল প্রামাণিক, ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ড. মোঃ মহিউদ্দিন, ড. মোঃ গোলাম রব্বানী, ড. মো: আবদুর রশীদ, মো. মাহফুজুল হক, ড. লায়লা নূর ইসলাম, ড. কামরুজ্জামান, ড. মোঃ এমরান কাইয়ুম, ড. হায়দার আলী, ড. মো. এনামুল হক, ড. দিলীপ কুমার বড়ূয়া, ড. মো. মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া, ড. মো. আসলাম হোসেন, রাশীদ মাহমুদ, ড. মোঃ মোজাম্মেল হক, আ কা ফিরোজ আহমদ, ড. মোঃ নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সফিউল্ল্যাহ, ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ড. বোরহান উদ্দীন খান, মো. মাহ্ফুজুল ইসলাম, তাহমিনা আখতার, ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, হোসনে আরা বেগম, ড. মোঃ আবুল বাশার, ড. শেখ নজরুল ইসলাম, ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, ড. মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী, মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, ড. ছিদ্দিকুর রহমান নিজামী, আহমেদ জামাল আনোয়ার, এ এস এম মহিউদ্দিন, এ বি এম শহিদুল ইসলাম, ড. সৈয়দ আলী আহসান, ড. নেভিন ফরিদা, ড. মোবাশ্বের মোনেম, ড. মুসলেহ উদ্দিন তারেক, ড. মোঃ আব্দুল কাদের, মোঃ মাজহারুল আনোয়ার, ড. মোঃ আবদুর রব, ড. মোঃ আবদুল কাইয়ুম, ড. মোঃ আবুল বাসার, কাওসার হোসেন টগর, ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, ড. মোঃ আনিছুর রহমান খান, ড. মোঃ কামরুল এহসান, ড. মোঃ সায়েদুল ইসলাম, ড. খোন্দকার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আমিনুল ইসলাম ভূইয়া, ড. মোঃ খলিলুর রহমান, ড. বাবুনা ফায়েজ, ড. এএম সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, ড. এএ মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী, ড. এস এম মোস্তফা আল-মামুন, শামীম শামছি, ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, ড. মুস্তাফিজুর রহমান, ড. রাজিয়া বেগম, ড. সাহিদা ইসলাম, ড. ছগীর আহমেদ, ড. জাহিদুল ইসলাম, ড. সিরাজুল হক, ড. মো. শামসুল আলম, এমএ কাউসার, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ড. মো. শফিকুর রহমান, ড. ইউসুফ ইবনে হোসাইন, ড. মো. মাসুদ আলম, ড. শেখ মো. ইউসুফ, আবদুল আজিজ, ড. মোঃ আনোয়ারুল আজিম আকন্দ, ড. শাহনুর হোসাইন, সাবরিনা শাহনাজ, রেজা আসাদ হুদা অনুপম, ড. মো আজহারুল ইসলাম, ড. শেখ মনির উদ্দিন, ড. মোঃ আব্দুল মজিদ, ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, ড. মোঃ আবদুল করিম, ড. মোঃ আবদুস সালাম, ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, ড. মোঃ নাদিরুজ্জামান মন্ডল, ড. মোঃ হাসান উজ্জামান, ড. মহব্বত আলী, ড. মোঃ খলিলুর রহমান, ড. মোঃ জাকির হোসেন খান, ড. আফরোজ সুলতানা চ্যামন, ড. আবদুস সালাম, ড. আরিফ বিল্লাহ, ড. নাজমুল আহসান, ড. এএইচএম জুলফিকার আলী, ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ড. মুহাম্মদ মেজবাহ উল ইসলাম, ড. মু: মুছলেহ উদ্দীন, ড. মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, ড. মুহাম্মদ ইউসুফ, ড. মুহাম্মদ মুসলেহ উদ্দিন, ড. মুহাম্মদ শামছুল আলম, ড. শাকিল উদ্দিন আহমেদ, ড. মুর্শিদা বেগম, মৌটুসী তানহা, ড. মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, ড. মোহাম্মদ শরীফুর রহমান, ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মোহাঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ আবুল কায়সার, ড. মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ সফিকুল ইসলাম, সেহেলী পারভীন, ড. গোলাম রব্বানী, মোহাম্মদ দাউদ খান, মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ ইলিয়াস, মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হাফিজ উদ্দিন ভূইয়া, ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ড. মোঃ বেলাল হোসেন, মোঃ মেহেদী হাসান খান, ড. মিরাজ কুবাদ চৌধুরী, ড. শাহ এমরান, ড. সেলিম রেজা, ড. এটিএম জাফরুল আজম, ড. হাফিজউদ্দিন ভূঁইয়া, মোঃ আবদুল কাদির, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ আজহারুল ইসলাম, ড. মোঃ তাজুল ইসলাম, ড. মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ নুরুল ইসলাম, ড. মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ রবিউল হক, মোঃ কুতুব উদ্দিন, ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক, ড. মোঃ জসিম উদ্দীন, আনম সালাহ উদ্দিন, ড. হাসান তালুকদার, মো. রাশেদুজ্জামান, কাজী মাহবুবুর রহমান, আবদুস সালাম, মোঃ আলমগীর হোসেন সম্রাট, আবু আসাদ চৌধুরী, আমিরুস সালাত, ড. নাজমুজ্জামান ভূইয়া, নুসরাত ফাতেমা, ড. এটিএম মোস্তফা কামাল, মাহবুব কায়সার, ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন, ড. মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, মোঃ নুরুল আমিন, ড. যুবাইর মোহাম্মদ এহসানুল হক, ওমর ফারুক, সাইফুদ্দিন আহমেদ, ড. হাফিজ মুজতবা রিজা আহমাদ, ড. মো. সানাউল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, ড. মঈনুল ইসলাম, ড. মু আরিফুল হক, ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ।



 

Show all comments
  • Ataur ১১ মার্চ, ২০১৯, ১১:০৬ পিএম says : 0
    দেশ চলছে এক নায়কতন্ত্র সেখানে আমরা কি আশা করতে পারি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডাকসু নির্বাচন

৩ নভেম্বর, ২০২১
১২ মার্চ, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ