নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইতালিয়ান প্রত্রিকার এক রিপোর্টে ফুটবল দুনিয়ায় তোড়পাড়- সামনের মৌসুমে জুভেন্টাসের কোচের চেয়ারে মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির জায়গায় দেখা যাবে পেপ গার্দিওলাকে। চমকে দেয়ার মত খবরই বটে! ম্যানচেস্টার সিটি কোচ অবশ্য এটাকে শ্রেফ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
বাতাসে এমন গুঞ্জন ভেসে বেড়ানোয় স্বভাবতই ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে তাকে সবচেয়ে বেশি কথা বলতে হয়েছে এই ব্যাপারে। স্পষ্ট করেই সাবেক বার্সেলোনা কোচ বলেছেন, ‘দুই বছর চুক্তির মেয়াদ থাকার পরও আমি আরেক দলে যোগ দেব? অসম্ভব।’ কাতালান কোচ বলেন, ‘যদি তারা আমাকে বরখাস্ত করে। তারপর আমি বাড়ি চলে যাব। তবে ম্যানচেস্টার সিটি আমারকে দুই বছর রেখে দেবে এবং এরপর হয়তো আরো দুই বছর।’ গার্দিওলা স্পষ্ট করেই বলেন, ‘আগামী দুই বছরে আমি জুভেন্টাসে যোগ দিচ্ছি না।’
গুজবের সব দায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর চাপিয়েছেন গর্দিওলা। তিনি বলেন, ‘আমি জানি বর্তমান সময়ে সকলের জীবনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব অনেক বেশি। কিন্তু গণমাধ্যমে যে ধরনের খবর প্রচারিত হয় তার অনেক সময় কোন ভিত্তি থাকে না। যারা প্রচার করেছে আমি জুভেন্টাসে যাচ্ছি তাদের কেউই আমার সাথে বা আমার এজেন্টের সাথে এমনকি জুভেন্টাস কিংবা আলেগ্রির সাথে কথা বলে রিপার্টটি তৈরি করেনি। সত্যিকার অর্থেই আমি আলেগ্রির জন্য দুঃখিত। এখনো আমার সাথে সিটির দুই বছরের চুক্তি বাকি রয়েছে এবং আমি কোথাও যাচ্ছি না। ম্যানচেস্টার সিটি যদি আগ্রহ দেখায় তবে দুই বছর নয়, আরো দীর্ঘদিন এখানেই থাকতে চাই।’
ঘরের মাঠে সাইডলাইনে এদিন প্রথমার্ধ দারুণ টেনশনে কাটে গার্দিওলার। একের পর এক আক্রমণ শানিয়েও জালের দেখা মিলছিল না। বিরতি থেকে ফিরে ছোট্ট এক ‘স্টার্লিং’ ঝড়ে সব টেনশন গায়েব। মাত্র ১৩ মিনিটের ব্যবধানে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে স্কোরলাইন ৩-০ করে দেন রাহিম স্টার্লিং।
তবে তার চেয়ে বড় খবর হলো পয়েন্ট তালিকায় লিভারপুলের চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়া। গতকাল অবশ্য ঘরের মাঠে বার্নলিকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ব্যবধানটা আবার একে নামিয়ে সিটির উপর চাপ অব্যহত রেখেছে লিভারপুল। শিরোপা ধরে রাখতে হলে তাই আর কোন পয়েন্ট হারানো চলবে না বলে শিষ্যদের স্বতর্ক করেছেন গার্দিওলা, ‘এটা প্রায় অসম্ভব যে সব প্রতিযোগিতায় কোন পয়েন্ট না হারানো। আমাদের শান্ত থেকে পরের সপ্তাহের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
মঙ্গোলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর ফিরতি ম্যাচে বুন্দেসলিগার দল শালকেকে আতিথ্য দেবে সিটি। প্রথম লেগে ৩-২ গোলে জিতে শেষ আটের পথ অনেকটা মসৃণ করে রেখেছে আকাশী-নীলরা।
লিভারপুলের জন্যও গতকালের জয়টি ছিল অনেকটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগে নিজেদের ভালোভাবে ঝালিয়ে নেওয়ার মতই। সিটির মত অবশ্য তাদের এই পথ অতটা মসৃণ নয়। ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে কোন গোল করতে পারেনি ইয়ুর্গুন ক্লপের দল। ম্যাচ হয় গোলশূন্য ড্র। মিউনিখে তাই বুধবার রাতে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে তাদের জন্যে।
সেই পরীক্ষার জন্যে যে অল রেডরা প্রস্তুত তার আভাস দিয়ে রাখলেন ক্লপের শিষ্যরা। স্কোরলাইন হয়তো লড়াইয়ের কথা বলছে কিন্তু আসল চিত্র ছিল ভিন্ন। অবশ্য আনফিল্ডে ধারার বিপরীতে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই গোল খেয়ে প্রথমে পিছিয়ে পড়ে লিভারপুল। প্রথমার্ধেই রবার্তো ফিরমিনো ও সাদিও মানের গোলে উল্টো লিড নেয় স্বাগতিকরা। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল দিয়ে ব্যবধান বাড়ান ফিরমিনো। যোগ করা সময়ে বার্নলি একটি গোল শোধ দেয় বটে, কিন্তু অবনমনের সঙ্গে লড়তে থাকা দলের বিপক্ষে ম্যাচের একেবারে শেষ বাঁশি বাঁজার আগে নিজের দ্বিতীয় গোল দিয়ে ব্যবধান সিটিসুলভ করে নেন মানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।