পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ছাত্র রাজনীতিতে সুবাতাস বইবার সুযোগ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আগামীকাল (আজ) ডাকসু নির্বাচন। কোন দল জিতবে বা কোন দল জিতবে না, নির্বাচন কালকে (আজ) কি হবে- সেটা আমরা পরে বিবেচনা করবো। কিন্তু এই নির্বাচনের অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে একটা সুবাতাস বইবার সুযোগ পেয়েছে। এটাকে যদি মেনটেইন করা যায় তাহলে রাষ্ট্রের জন্য, জাতির জন্য নিসন্দেহে ভালো কাজ হবে। আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পারবো। গতকাল (রোববার) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের স্বাধীনতা মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আহবায়ক কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র সংগঠনগুলো এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে -আমি সেটাকে স্বাগত জানাই। কারণ যে, ডাকসু নির্বাচন ২৮ বছর হয়নি। এটি আরেকটি ক্যান্সারের সৃষ্টি করেছিলো। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব সৃষ্টি হবার যে কারখানা সেই কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিলো। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যে রাজনৈতিকভাবে কিছুটা অনীহা তাদের এসে গিয়েছিলো বা পিছিয়ে যাচ্ছিল, সেটাতে আবার একটা আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৩০ ডিসেম্বর একটা নির্বাচন করেছে। আমরা ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। কেনো? আমরা ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলাম। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আন্দোলন তৈরি করে আমরা জনগণের অধিকারগুলো ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এরা কি করেছেন? এরা (সরকার) ক্রিমিনালের মাইন্ড নিয়ে গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম নিরপেক্ষ লোকদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করুন। সেটা করা হয়নি। তারা তাদের একেবারে পোষ্য লোকগুলোকে দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। সেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই নির্বাচনটিকে পুরোপুরিভাবে যেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, আওয়ামী লীগে যেন জয়ী হতে পারে তার জন্য তারা কাজ করেছেন। এই নির্বাচন আপনারা দেখেছেন, সবাই ভুক্তভোগী এবং এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা যে নজির সৃষ্টি করেছে তা নজিরবিহীন। অতীতে কেউ তা দেখেনি।
নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙে দেয়ার অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। তার প্রমাণ আপনারা দেখেছেন যে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটাররা কেউ ভোট দিতে যায়নি। আবার উপজেলা নির্বাচন শুরু হয়েছে। সেখানেও পত্রপত্রিকায়, মিডিয়ায় আমরা দেখছি যে, কারো কোনো আগ্রহ নেই। ৭৫/৮০ জন বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। অর্থাৎ নির্বাচনী প্রতিষ্ঠানটা শেষ হয়ে গেলো। জুডিশিয়ারি গেলো, নির্বাচনী প্রতিষ্ঠান গেলো আর প্রশাসন তো তারাই রাজা। আমি অনেককে বলতে শুনেছি, তথাকথিত তামাশার নির্বাচনে এমপি যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের অনেককে এই প্রশাসনের লোকজন বলেছে, ভাই আপনারা দূরে থাকেন। নির্বাচন তো আপনারা করেননি, করেছি আমরা, জিতিয়েছি তো আমরা। সুতরাং যা করার করব আমরা।
কারাবন্দি খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে এতো অসুস্থ যে উনি এখন সোজা হয়ে বসতে পারেন না। তার আলাদা সাহায্যকারী দরকার হয় যারা তাকে বিছানা থেকে তুলতে হয়। একটা সলিটারী নির্জন একটা কারাগারে রাখা হয়েছে যেটা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বেইনসাফী ও অবিচারের যেসব ঘটনা ঘটছে তার বর্ণনা অসংখ্যভাবে দেয়া যাবে যা বলে শেষ হবে না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে কৃষক দলের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ফখরুল।
সরকারের প্রতি আহবান রেখে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে যদি সত্যিকার অর্থেই একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে চান, একটা গণতান্ত্রিক আবহাওয়া সৃষ্টি করতে চান তাহলে অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, কৃষক দলের আহবায়ক শামসুজ্জামান দুদু, সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, তকদির হোসেন মো. জসিম, নাজিম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন খান মিলন, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, মাইনুল ইসলাম প্রমূখ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।