পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে ঐতিহ্যবাহী ভৈরব নদের কান্না থামানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদ-নদীর মধ্যে ভৈরব নদ ছিল সবচেয়ে গভীর। যশোর-খুলনার বুক চিরে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদটি শুকিয়ে মানচিত্র থেকে মুছে যাবার উপক্রম হয়। নদের বুকে চাষাবাদ চলে। নদ বাঁচানোর আন্দোলন হয়েছে বহুবার। কিন্তু বাস্তবে নদটির বাঁচাও বাঁচাও বেদনাঘন আর্তনাদ থামাতে কেউ এগিয়ে আসেনি। অনেক দেন দরবারের পর শেষপর্যন্ত বর্তমান সরকার নদটি খনন শুরু করেছে।
যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, চৌগাছার তাহেরপুর জিরো পয়েন্ট থেকে ৫০কিলোমিটার এবং যশোর শহরের কাঠেরপুল থেকে দাইতলা ফতেপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এবং ক্যাঁনমেন্ট এলাকার নুরপুর থেকে বারীনগর পর্যন্ত স্কেভেটর দিয়ে প্রতিনিয়ত খনন কাজ চলছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২শ’৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে মরা ভৈরব খননের কাজ চলবে। ইতোমধ্যে দাইতলা পয়েন্টে খনন শেষ হওয়ায় সেখানে জোয়ারভাটা শুরু হয়েছে। তবে যশোর শহরের অংশে অবৈধ দখলমুক্ত না হলে খনন ডিফিকাল্ট হবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান।
সূত্র জানায়, ভৈরব নদের জমি দখল করে দুইপাড়ে বেশকিছু ভবন ও অসংখ্য দোকানপাট নির্মিত হয়েছে। যার দখলদাররা প্রভাবশালী। ’৮০এর দশক থেকে মূলতঃ নদ দখল শুরু হয়। দৈনিক ইনকিলাবসহ পত্র-পত্রিকায় অসংখ্যবার লেখালেখির পর গতবছরের নভেম্বরে ১শ’ ১৮ জন অবৈধ দখলদার চিহ্নিত করে নোটিশ ইস্যু হয়। প্রশাসন থেকে বলা হয় এবার শত চেষ্টা করেও রক্ষা পাবে না অবৈধ দখলদাররা। কিন্তু বাস্তবে এখনো পর্যন্ত অবৈধ দখল উচ্ছেদ হয়নি। ফলে শহরের অংশে নদ খনন নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও গতকাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সোমবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের বৈঠক হবে উচ্ছেদের ব্যাপারে। তিনি বলেন এবার উচ্ছেদ হতেই হবে।
জানা যায়, ঐহিত্যবাহী ভৈরব নদটি গঙ্গা থেকে বের হয়ে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ভেতর দিয়ে সীমান্ত জেলা মেহেরপুরে ঢুকেছে। মেহেরপুরের সুবলপুর পয়েন্টে মিশেছে মাথাভাঙ্গা নদীর সাথে। ভৈরব নদ আর মাথাভাঙ্গা নদী অভিন্ন ধারায় প্রবাহিত হয়। ওই পয়েন্ট থেকে দর্শনা ও জীবননগর হয়ে ভৈরব নদ এসে মিশেছে চৌগাছার তাহেরপুরে কপোতাক্ষের সাথে। সেখান থেকে ভৈরব নদ যশোর ও শিল্পশহর নওয়াপাড়া হয়ে শিল্পনগরী খুলনা ছুঁয়ে সুন্দরবনের পশুরনদীতে গিয়ে মিশেছে। ভৈরব নদকে ঘিরেই মূলত যশোর, নওয়াপাড়া ও খুলনায় নগর, শহর ও শিল্প গড়ে ওঠে। ব্যবসা-বাণিজ্যও সম্প্রসারিত হয়। ভৈরব নদে একসময় বড় বড় জাহাজ ভিড়তো। ভৈরব নদের পুরো অংশ খনন ও উচ্ছেদ শেষ হলে নদটি জীবিত হবে। নৌ-যোগাযোগ ঘটবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।