পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘মানুষ বাঁচে তার কর্মে, বয়সের মধ্যে নয়’ বাংলা ব্যাকরণের এই শব্দ বহুল ব্যবহৃত। ছোট্ট এই শব্দ ভাবসম্প্রসারণে শত শত পৃষ্ঠার গুণগান লেখা যায়। মানুষ মরণশীল। তবে নিজ কর্মের মাধ্যমে কেউ কেউ বেঁচে থাকে অনন্তকাল। কর্মের দ্বারাই মানব মনে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছেন, দেশে এমন নেতার সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। রাজনীতিকরা কর্মগুণে বিখ্যাত বা কুখ্যাত হন। মহৎ কর্মই মানুষকে অমরত্ব দান করে, অপকর্মে দেয় কুখ্যাতি। দেশে অসংখ্য নেতা জন্ম নিয়েছেন আবার ইন্তেকালও করেছেন। কিন্তু আমজনতার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন খুব অল্পসংখ্যক নেতা। তাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে তাদের মহৎকর্ম এবং মানুষের ভালোবাসা। রাজনীতিকদের জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তার মহৎকর্ম। ইতিহাসে কর্মই নেতাদের জায়গা নির্ধারণ করে দেয়। ইতিহাসের পাতায় জায়গা পেয়েছেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং মীর জাফর আলী খাঁ। কর্মগুণ ও অপকর্মের কারণে শত শত বছর ধরে একজন নন্দিত আরেকজন ঘৃণিত হচ্ছেন।
উপমহাদেশে অনেক রাজনীতিক জন্ম নিয়েছেন; মৃত্যুবরণও করেছেন। ইতিহাসে সবার জায়গা একভাবে হয়নি। আমাদের নেতাদের বেলায়ও একই অবস্থা। অনেকেই মৃত্যুর পরও মানুষের হৃদয়ে বেঁচে রয়েছেন। কেউ কেউ প্রথম জীবনে সুখ্যাতি অর্জন করেও পরে লোভ-লালসায় পড়ে বিতর্কিত কর্মের কারণে নিন্দিত হয়েছেন; মৃত্যুর পর পাচ্ছেন আমজনতার ধিক্কার। এই বাস্তবতা দেশের রাজনীতিকদের অনুধাবন করাই শ্রেয়। কয়েক দিন ধরে দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত নাম সুলতান মুহাম্মদ মনসুর। পত্রিকার পাতা থেকে শুরু করে টিভি মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, হাট-মাঠ-ঘাট, অফিস-আদালত সর্বত্রই আলোচ্য নাম সুলতান মনসুর। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে ধানের শীর্ষ প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে এমপি হিসেবে শপথ নেয়ায় মূলত এখন তিনি আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু।
বয়স এবং কর্ম তেমন না থাকলেও অতীতের দিকে তাকালে দেখা যায় সুলতান মুহাম্মদ মনসুরের রাজনৈতিক জীবন বেশ বর্ণাঢ্য। ১৯৬৮ সালে তিনি ছাত্রলীগে ছাত্ররাজনীতি শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে ডাকসু’র ভিপি হন। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকাবস্থায় স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ডাকসুর ভিপি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ‘ডাকসু ভবন’ থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে ফেলে দেন। সুলতান মনসুর ভিপি হওয়ার পর ডাকসু ভবনে পুনরায় বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো হয়। ভারতঘেঁষা রাজনীতির কারণে জাতীয়তাবাদী ধারার রাজনৈতিক দল এবং মানুষ সুলতান মনসুরকে পছন্দ না করলেও সৎ, পরিচ্ছন্ন ও সুবক্তা হিসেবে তিনি পরিচিত। মেধাবী, আদর্শবান ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশ কাঁপিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যান। জাতীর পিতার জীবনের চেয়ে নিজেদের জীবনকে বেশি মূল্যবান মনে করে আওয়ামী লীগ নেতারা ছিলেন আত্মগোপনে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত লাশ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের সিঁড়িতে রেখেই আওয়ামী লীগের প্রায় অর্ধশত নেতা খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা নেতারা যখন কেউ মন্ত্রী, কেউ ভয়ে দিনে হাজারবার মরেন; তখন গর্জে ওঠেন বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্রতিরোধ আন্দোলনে যারা যোগ দেন তাদের মধ্যে ছিলেন সুলতান মনসুরও। সেজন্য তাকে কাটাতে হয়েছে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ে আত্মগোপনে। তিনি নেতৃত্বগুণে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও হন। কিন্তু ১/১১-এর পর ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনের সময় শেখ হাসিনাকে দল থেকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্রে সংস্কারপন্থী হয়ে যান। তিনি র্যাটস (আবদুর রাজ্জাক, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত)-এর পক্ষ নেন। পরবর্তীকালে র্যাটস সদস্যরা আওয়ামী লীগে জায়গা পেলেও সুলতান মনসুরের জায়গা হয়নি।
২০০৮ থেকে ২০১৮ দীর্ঘ ১০ বছর নৌকায় ওঠার নানা চেষ্টা করেও সফল না হয়ে সুলতান মনসুর ড. কামাল হোসেনের ঐক্যপ্রক্রিয়ায় যোগ দেন। যদিও ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সময় সুলতান মনসুরের দল না থাকায় সভা সমাবেশে তাকে বক্তৃতার সুযোগ না দেয়ার দাবি ছিল। কিন্তু ড. কামাল হোসেন সুযোগ দেন। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের আগের রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ব্যালটে নৌকায় সিল মারার কারণে নির্বাচনের দিন জনগণকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। ফলে ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। ইতোমধ্যে গভীর রাতে নৌকার ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট, ৮ বাম দলের সমন্বয়ে গঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোট নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। ধানের শীষ প্রতীকের ৭২ জন প্রার্থী নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বিএনপি নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে গণশুনানি করেছে। বাম গণতান্ত্রিক জোটও গণশুনানি করেছে। গণশুনানিতে আগের রাতের ভোটের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এমনকি ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদের শরীফ নুরুল আম্বিয়া নির্বাচনের আগের রাতে নৌকায় সিল মারার চিত্র তুলে ধরেছেন। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রায় অভিন্ন বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, নির্বাচনের আগের রাতে আর রাতে সিল মারতে হবে না। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন টিআইবি ভোটের চিত্র তুলে ধরে জানিয়েছে, প্রায় ৯০ শতাংশ কেন্দ্রে আগের রাতেই সিল মারা হয়েছে। নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোও একই চিত্র তুলে ধরেন। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আগ থেকেই ভোটের অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নির্বাচন কমিশনের একাধিক সদস্য নির্বাচনের আগের রাতে সিল মারার সংস্কৃতি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। গত শুক্রবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার খান মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার সংস্কৃতি বন্ধের জন্যই সব নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা উচিত।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সিদ্ধান্ত নেন সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে অনড় থাকার। দল ও ফ্রন্টের নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করে এমপি হিসেবে শপথ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এমপির সুযোগ সুবিধার লোভ সংবরণ করতে না পারায় বি. চৌধুরীর পথ ধরে সুলতান মনসুর সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ৭ মার্চ এমপি হিসেবে শপথ নেন। বি চৌধুরী দীর্ঘদিন থেকে যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে জনগণের ভোটের অধিকারের কথা বললেও নির্বাচনের আগে পুত্র মাহী বি চৌধুরীকে এমপি করার লোভে আওয়ামী লীগ জোটে যোগ দিয়ে জনগণের ভোট দেয়ার অধিকারের বিপক্ষ্যে অবস্থান নেন।
সুলতান মনসুর শপথ নেয়ার পরই তার নাম হয়ে যায় টক অব দ্য কান্ট্রি। সুলতান মনসুরকে বহিষ্কার ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে বলা হয় গণফোরামের যে গণমুখী নীতি আদর্শ তার সঙ্গে সুলতান মনসুর প্রতারণা এবং গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করেছেন। দলের কর্মসূচি, নিয়মকানুন, আদেশ-নির্দেশ অমান্য করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সংসদে সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ায় দল, জনগণ ও ঐক্যফ্রন্টের সবাই মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। বিএনপির নেতাদের ভাষায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বিপরীতে গিয়ে সুলতান মনসুরের শপথ জাতির সঙ্গে বেঈমানির নামান্তর। ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার শপথের সঙ্গে টাকা-পয়সারও লেনদেন থাকতে পারে আশঙ্কা করে বলেছেন, ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচিত হয়ে শপথ অনৈতিকতা। সুলতান মনসুরের শপথ নেয়াকে গরু-ছাগল বিক্রির সঙ্গে তুলনা করে ড. কামাল হোসেন বলেছেন, গরু-ছাগল বিক্রি হয়, কিন্তু প্রকৃত মানুষ কখনো বিক্রি হয় না। যারা গরু ছাগলের মতো বিক্রি হয় তারা মানুষ নয়, রাজনীতির সুবিদাবাদী দালাল।
গণফোরাম, বিএনপি, সিপিবির নেতাকর্মী এবং মৌলভীবাজার-২ আসনের ভোটাররা বলছেন, লোভ সংবরণ করতে না পারায় সুলতান মনসুর এমপি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে সুলতান মনসুরের অতীত রাজনীতির চিত্র তুলে ধরে অভিন্ন বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। জাতীয় সংসদ সদস্যদের বেতনভাতা ও সুবিধা প্রাপ্তি ব্যাপক। বর্তমানে এমপিরা হয়ে যান নির্বাচনী এলাকার ‘রাজা’। পাশাপাশি আয় করেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। বৈধভাবে তারা যে আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন তা সাধারণ মানুষের কল্পনার বাইরে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, একজন সংসদ সদস্য (১) মাসিক বেতন ৫৫০০০ টাকা, (২) নির্বাচনী এলাকার ভাতা প্রতি মাসে ১২৫০০ টাকা, (৩) সম্মানী ভাতা প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা, (৪) শুল্কমুক্তভাবে গাড়ি আমদানির সুবিধা, (৫) মাসিক পরিবহন ভাতা ৭০০০০ টাকা, (৬) নির্বাচনী এলাকায় অফিস খরচের জন্য প্রতি মাসে ১৫০০০ টাকা, (৭) প্রতি মাসে লন্ড্রি ভাতা ১৫০০ টাকা, (৮) মাসিক ক্রোকারিজ, টয়লেট্রিজ কেনার জন্য ভাতা ৬০০০ টাকা, (৯) দেশের অভ্যন্তরে বার্ষিক ভ্রমণ খরচ ১২০০০০ টাকা (১০) স্বেচ্ছাধীন তহবিল বার্ষিক পাঁচ লাখ টাকা, (১১) বাসায় টেলিফোন ভাতা বাবদ প্রতি মাসে ৭৮০০ টাকা, (১২) ইত্যাদি। এ ছাড়াও সংসদ সদস্যদের জন্য সংসদ ভবন এলাকায় এমপি হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা, রাজউকের প্লটসহ নানারকম সুযোগ সুবিধা। এমপিরা যে টাকা গাড়ি বিদেশ থেকে আমদানী করেন সাধারণ মানুষ সেই গাড়ি ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি টাকায় কিনতে হয়। নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষক থেকে ঝাড়–দার নিয়োগে এমপিরা করেন বাণিজ্য। সুলতান মনসুরকে যারা কাছ থেকে দেখছেন এবং তার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন তাদের ধারণা এমপিদের এই বিপুল সুবিধার লোভ সংবরণ করতে না পেরেই তিনি শপথ নিয়েছেন।
সুলতান মনসুরের এই শপথ ইস্যুতে আলোচনা, সমালোচনা, বিতর্ক এখনো চলছে। এ অবস্থায় মানুষ সুলতান মনসুরের সেদিনের রাজনীতির সঙ্গে বর্তমানের সুবিধাবাদী রাজনীতি মেলানোর চেষ্টা করছেন। তার দীর্ঘদিনের রাজনীতিক সহকর্মীদের কেউ কেউ বলছেন, এমপিদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধার লোভ সংবরণ করতে পারছেন না জানালে আমরা চাঁদা তুলে তাকে অর্থ দেয়ার ব্যবস্থা করতাম। সুলতান মনসুর সেটা না করে গণমানুষ ও ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এমপি হিসেবে শপথ নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি দেশের রাজনীতির ইতিহাসে নিজের স্থান করে নিলেন!
দেশের রাজনীতির ইতিহাসে ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং ’৭৫ এর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এই কন্ঠস্বরের স্থান কোথায় হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।